Tuesday, December 30
Shadow

কলাম

শিক্ষিত বেকার বাড়ার হার উদ্বেগজনক

শিক্ষিত বেকার বাড়ার হার উদ্বেগজনক

কলাম
 আমিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত ১০ বছরে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার বেড়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রী পাশ করে বের হচ্ছেন। কিন্তু সে তুলনায় তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। যদিও এই মুহূর্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার লাখের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু এসব পদ পূরণে তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। আর বতর্মানে শ্রমবাজারে ২৬-২৮ লাখ কর্মক্ষম বেকার রয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। বিশেষজ্ঞদের অভিমত-দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনীন বা কর্মমুখী নয়। তাই শিক্ষার সঙ্গে কর্মের সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কর্মহীন বিপুল এ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে সরকারের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। বাস্তবতাবিমুখ শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার বাণিজ্যি...
ইসরায়েল গাজা দখল করছে অপরাধস্থল গোপন করতে

ইসরায়েল গাজা দখল করছে অপরাধস্থল গোপন করতে

কলাম
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের আজ সকালের খবর পড়লে মনে হতে পারে, গাজার ওপর সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইচ্ছা নতুন কোনো পরিকল্পনা। কিন্তু ২০০০ পাউন্ডের বোমা ফেলা কখনো বন্দিদের উদ্ধার করে না, আর গোটা পাড়া-মহল্লা মুছে দেওয়ার পেছনে সেগুলোর জায়গায় কিছু নির্মাণের পরিকল্পনাই থাকে। শুক্রবার, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের অনুমোদন দিয়েছে, যা এই গণহত্যার শুরু থেকেই চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। পরিকল্পনাটি একটি সুপরিকল্পিত ধাপ মেনে চলে: প্রথমে ধ্বংস, তারপর অনাহারে রাখা, দখল, নিরস্ত্রীকরণের দাবি, এবং অবশেষে পূর্ণ জাতিগত নিধন—যখন ফিলিস্তিনিদের কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রতিরোধের সামর্থ্য থাকবে না। এইভাবেই “গ্রেটার ইসরায়েল”–এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু এই দখল এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কারণ কী—২২ মাসের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পর? কারণ অপরাধস্...
এসএসসির ফল বদলের ঢেউ: প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মূল্যায়ন ব্যবস্থা

এসএসসির ফল বদলের ঢেউ: প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মূল্যায়ন ব্যবস্থা

কলাম
স্বপন বিশ্বাস ফল প্রকাশের দিনটি একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর একটি। কিন্তু সেই দিনের আনন্দ যদি কয়েক সপ্তাহ পরে পুনঃমূল্যায়নের ঢেউয়ে বদলে যায়, তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে—মূল মূল্যায়ন কি তাহলে ভুলে ভরা? এবারের এসএসসি পরীক্ষার পুনঃমূল্যায়নের পর ফলাফলের যে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে, তা শিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর বড় ধরনের আঘাত হেনেছে।প্রতি বছরই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের একাংশ ফল পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করে। কিন্তু চলতি বছর সেই সংখ্যা ও পরিবর্তনের হার দুটোই যেন নতুন রেকর্ড গড়েছে। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৮৭২টি খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ খাতায় নম্বর পরিবর্তন হয়েছে—যা গত বছরের ২১ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।পরিসংখ্যান বলছে, ৫,২১৪ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস কর...
বাংলাদেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা,  উত্তরণে প্রয়োজন নিবিড় নজরদারি ও জবাবদিহিতা

বাংলাদেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা,  উত্তরণে প্রয়োজন নিবিড় নজরদারি ও জবাবদিহিতা

কলাম
স্বপন বিশ্বাস  বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রা আজ নানা খাতে দৃশ্যমান হলেও শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা—সব স্তরেই রয়েছে কাঠামোগত দুর্বলতা, নীতি অসঙ্গতি, শিক্ষক সংকট, মানহীন পাঠ্যক্রম ও দুর্বল অবকাঠামো। অথচ শিক্ষা শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যম নয়; এটি জাতি গঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এই অস্ত্র ভোঁতা হলে উন্নয়নের গতি স্থবির হয়ে পড়ে।বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গুণগত মানের অভাব। পরিসংখ্যান বলছে, প্রাথমিক স্তরে ভর্তি হার প্রায় শতভাগ হলেও শেখার ফলাফল সন্তোষজনক নয়। অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেও পড়া বোঝা ও গাণিতিক দক্ষতায় পিছিয়ে থাকে। এর পেছনে দায়ী অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণের ঘাটতি এবং পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতি। শুধু পাশ করানো নয়—শিক্ষার্থীকে বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে এমন জ্ঞান ও দক্ষতা দেওয়া এখন...
দোদুল্যমান নির্বাচনের পটভূমিতে পিআর বিতর্ক: সময় কি উপযোগী?

দোদুল্যমান নির্বাচনের পটভূমিতে পিআর বিতর্ক: সময় কি উপযোগী?

কলাম
শোয়েব সাম্য সিদ্দিক শুরুতেই প্রশ্ন: এখন কেন পিআর?জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত, তখন হঠাৎ করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি। কেউ বলছেন, ‘‘এটা গণতন্ত্রের পরিপক্ব রূপান্তর’’, আবার কেউ বলছেন, ‘‘এ এক বিপজ্জনক বিভ্রান্তি’’। সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে আচমকা পিআর নিয়ে তৎপরতা ও জনসংযোগের ঝড় উঠায় মনে প্রশ্ন জাগে: ঠিক এমন সময়েই কেন এত আলোড়ন? দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় যখন নির্বাচনের স্বচ্ছতা, ভোটাধিকার এবং নিরপেক্ষতার মতো মৌলিক প্রশ্নগুলোরই সমাধান মেলেনি, তখন এক গভীর কাঠামোগত সংস্কার হঠাৎ আলোচনায় আনা কি সত্যিই গণতন্ত্রের জন্য? নাকি এ কেবল ‘‘দৃষ্টি সরানোর কৌশল’’? পি আর সহজভাবে বুঝিপি আর বা Proportional Representation এমন একটি ভোট পদ্ধতি, যেখানে দলগুলো সংসদে আসন পায় তাদের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হিসেবে। অর্থাৎ, যে দল জাতীয়ভাবে...
নাসির নগর উপজেলার প্রাণ পুরুষ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম ব্যারিষ্টার আব্দুর রসুল

নাসির নগর উপজেলার প্রাণ পুরুষ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম ব্যারিষ্টার আব্দুর রসুল

কলাম
খ. ম. জায়েদ হোসেন, নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (১৮৭২-১৯১৭) আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। তিনি ১৮৭২ সালের ১০ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক গ্রামের এক মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আবদুর রসুলের পিতা মৌলভী গোলাম রসুল ও পিতামহ মৌলভী গোলাম আলী উভয়েই গুনিয়াউকের প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন।শৈশবেই আবদুর রসুল পিতৃহারা হন। কিন্তু তার মাতা লংজান বিবি তাকে অত্যন্ত সফলভাবে গড়ে তোলেন। গৃহ শিক্ষক মহেশ চৌধুরীর কাছে তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুলে ভর্তি হন এবং এ স্কুল থেকে তিনি ১৮৮৮ সালে এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ১৮৮৮ সালেই বিলাত যান। আবদুর রসুল ১৮৯৬ সালে বি.এ এবং ১৮৯৮ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। আবদুর রসুল ১৮৯৮ সালে ইংল্যান্ডের মিডল টেম্পল থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করেন এবং বি.সি.এল. ডিগ্রি লাভ ...
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, নৈতিক  মানুষ গঠনে ব্যর্থ

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, নৈতিক  মানুষ গঠনে ব্যর্থ

কলাম
স্বপন বিশ্বাস বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরীক্ষার পদ্ধতি এবং পাঠ্যক্রমের বহর। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এই সমগ্র ব্যবস্থার ফলশ্রুতিতে আমরা কতটা নৈতিক ও মানবিক মানুষ গড়তে পারছি? বর্তমান প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র দেখে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, শিক্ষক এমনকি শিক্ষাবিদরাও। শিক্ষা এখন কেবল সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে নৈতিকতা বিষয়ক কিছু অধ্যায় থাকলেও বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন খুবই কম। পরীক্ষার নম্বর আর জিপিএ পেতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শেখে মুখস্থ বিদ্যা, কিন্তু শেখে না সততা, সহমর্মিতা বা দায়িত্ববোধ। ফলে গড়ে উঠছে এক প্রজন্ম, যারা হয়তো মেধাবী, প্রযুক্তি-দক্ষ, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধে অনেকটাই শূন্য। শিক্ষকদের ভূমিকাও এখানে প্রশ...
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগব্যবস্থা: সমস্যা ও করণীয়

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগব্যবস্থা: সমস্যা ও করণীয়

কলাম, শিক্ষা
স্বপন বিশ্বাস: বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখছে। গত কয়েক বছরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয়, স্বচ্ছ নিয়োগব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। কিন্তু সমস্যা থেকে যাচ্ছে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং  কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে। এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। আর এখানেই গড়ে উঠেছে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের এক অন্ধকার চক্র।  অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাব, আর্থিক লেনদেন...
উপর মহলের উত্তেজনা বনাম তৃণমূলের আর্তনাদ: গণতন্ত্রের সম্ভাবনা ও রাষ্ট্রীয় পুনর্বিন্যাসের সন্ধিক্ষণ

উপর মহলের উত্তেজনা বনাম তৃণমূলের আর্তনাদ: গণতন্ত্রের সম্ভাবনা ও রাষ্ট্রীয় পুনর্বিন্যাসের সন্ধিক্ষণ

কলাম
মোঃ রাফিউজ্জামান রাফি, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, ঢাকা: আজকের বাংলাদেশ একটি দ্বিমুখী বাস্তবতার মুখোমুখি—একদিকে রয়েছে ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলে নানামুখী উত্তেজনা, বৈশ্বিক রাজনীতির প্রভাব এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ; অন্যদিকে রয়েছে তৃণমূল জনগণের নীরব দীর্ঘশ্বাস, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও অংশগ্রহণহীনতার গভীর বেদনা। এই বাস্তবতার গভীরে প্রশ্ন জাগে—আমরা কি কেবল একটি 'নির্বাচন' করেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছি, নাকি গণতন্ত্র কেবল একটি শব্দ হয়ে উঠেছে যার বাস্তব প্রতিচ্ছবি দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে? ভূরাজনীতি: বন্ধুত্বের চেয়ে অবস্থান এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ এখন আর কোনো বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড নয়; বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। পাশ্ববর্তী ও দূরবর্তী পরাশক্তিগুলো এখানে তাদের স্বার্থের জায়গা তৈরি করতে চায়—কেউ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নামে, কেউ বাণিজ্য ও নিরাপত্তার অজুহাতে,...
ফিলিস্তিন: আমাদের ঈমানের আয়না

ফিলিস্তিন: আমাদের ঈমানের আয়না

কলাম
___মোহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদীমাদরাসা মাসিহুল উলুম, ঢাকা। যখন আগুন ঝরে আকাশ থেকে, ভূমি কেঁপে উঠে শিশুদের কান্নায়, তখন একটাই প্রশ্ন সামনে আসে— আমাদের হৃদয় কি সত্যিই কাঁপে না? ফিলিস্তিন, গাজা কিংবা লেবাননের রক্তাক্ত মাটি কেবল যুদ্ধের চিহ্ন নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর নিস্তব্ধ আত্মপ্রবঞ্চনারও প্রতিচ্ছবি। দিনের পর দিন ইসরায়েল যে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের উপর, তা নিছক একটি ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবিক, ধর্মীয় ও নৈতিক বিপর্যয়। পবিত্র মসজিদুল আকসা লাঞ্ছিত, বৃদ্ধদের প্রকাশ্যে হত্যা, কোলের শিশুদের আগুনে ঝলসে দেওয়া— এসব কি কেবল সংবাদপত্রের শিরোনাম, নাকি ঈমানবান হৃদয়গুলোকে জাগিয়ে তোলার জন্য এক কঠিন পরীক্ষা? আজকের তথাকথিত সভ্য বিশ্ব যেখানে একচোখা নীতির আশ্রয় নিয়ে জালিমের পক্ষেই দাঁড়াচ্ছে, সেখানে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ইরান রাষ্ট্র ধারাবাহিকভাব...