Friday, November 14
Shadow

কলাম

শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা প্রশমন হোক

শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা প্রশমন হোক

কলাম
সাদিয়া সুলতানা রিমি  শিক্ষা জাতির অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন আজ বারবার অস্থিরতায় কাঁপছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়, যে কলেজ কিংবা যে স্কুল হওয়ার কথা জ্ঞানচর্চার নিরাপদ আশ্রয়, সেটিই প্রায়শই রূপ নিচ্ছে সংঘাত ও সহিংসতার অঙ্গনে। এ অস্থিরতা কেবল শিক্ষার্থীর জীবনকে ব্যাহত করছে না; বরং জাতির ভবিষ্যৎ ও উন্নয়নকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংগঠনের দ্বন্দ্ব, হলে দখলবাজি, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ কিংবা ক্ষমতার লড়াইয়ের দৃশ্য এখন আর নতুন নয়। অনেক ক্ষেত্রে এই সহিংসতা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। কলেজ পর্যায়ে ক্লাস বন্ধ, হরতাল কিংবা অনিয়মিত পরীক্ষা শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চিত করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে দেখা যায় বাণিজ্যিকীকরণ, কোচিং নির্ভরতা ও অতিরিক্ত চাপের প্রভাব। সব মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গন জুড়ে যে পরিবেশ বিরাজ করছে, তা শান্তিপূর্ণ শিক্ষা জীবনের স...
খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

কলাম
সাদিয়া সুলতানা রিমি  ঢাকা, কোটি মানুষের প্রাণের শহর। এই শহরের রাস্তাগুলো যেন এক জীবনপ্রবাহ, যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম ছুটে চলে মানুষ আর যানবাহন। কিন্তু এই প্রবহমান রাস্তার নিচেই লুকিয়ে আছে এক নীরব বিপদ, যা প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে—খোলা ম্যানহোল। ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে খোলা ম্যানহোল যেন একটি মরণফাঁদ, যা কেবল প্রাণহানিই নয়, শহরের সামগ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে। ঢাকার রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করা এখন এক দুঃসাহসিক অভিযান। একদিকে দ্রুতগতির যানবাহন, অন্যদিকে হুটহাট করে গজিয়ে ওঠা গর্ত আর খানাখন্দ। এরই মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো খোলা ম্যানহোল। এগুলোর কোনো নির্দিষ্ট অবস্থান নেই; যেকোনো ব্যস্ত সড়কের পাশে, ফুটপাতে, এমনকি মূল রাস্তার মাঝখানেও এগুলো দেখা যায়। প্রায়শই এগুলো কোনো সতর্কীকরণ চিহ্ন ছাড়াই অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে। সামান্য বৃষ...
সাম্য, বিদ্রোহ ও মানবতার কবি : কাজী নজরুল ইসলাম

সাম্য, বিদ্রোহ ও মানবতার কবি : কাজী নজরুল ইসলাম

কলাম
স্বপন বিশ্বাস আজ ২৭ আগস্ট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিন। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এই দিনটি শুধু এক কবির মৃত্যুদিন নয়, বরং বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতার এক অমর কণ্ঠস্বরের অবসান ঘটার দিন। তবে তাঁর সৃষ্টির আলো আজও আমাদের পথ দেখায়, আমাদের চেতনা জাগিয়ে রাখে।১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেন নজরুল ইসলাম। দারিদ্র্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাঁর শৈশব কেটেছিল। কখনো মুয়াজ্জিন, কখনো লেটো দলে গানের অভিনেতা, আবার কখনো সেনা হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া—জীবনের বহুমুখী অভিজ্ঞতা তাঁকে গড়ে তুলেছিল বাস্তববাদী ও সংগ্রামী মানুষ হিসেবে। এই জীবনের প্রতিটি রং তিনি তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস ও নাটকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।নজরুল সাহিত্য জীবনে প্রবেশ করেন সাংবাদিকত...
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবসমাজ : এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবসমাজ : এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার

কলাম
..... স্বপন বিশ্বাসআজকের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির সবচেয়ে সহজলভ্য সময়ের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও গেমিং—সবই হাতের মুঠোয়। এই প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচনের শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু সেই একই প্রযুক্তি আজ তাদের জন্য হয়ে উঠছে এক ভয়ঙ্কর ফাঁদ—অনলাইন জুয়া। সামান্য কৌতূহল বা বিনোদনের নাম করে শুরু হলেও অল্প সময়েই এ নেশা গ্রাস করছে তরুণদের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ও পরিবার।অনলাইন জুয়া মূলত সহজ অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখায়। এক ক্লিকেই খেলা, লটারি বা বেটিংয়ে অংশ নেওয়া যায়। প্রথমদিকে কেউ কেউ সামান্য লাভ পেলেও খুব দ্রুতই তারা অন্ধকারের গহ্বরে তলিয়ে যায়। কারণ এই খেলার নিয়মটাই এমন, যেখানে জেতার চেয়ে হারার সম্ভাবনা বহুগুণ বেশি। একসময় খেলোয়াড় বুঝতে পারে, সে শুধু অর্থ হারাচ্ছে না, বরং নিজের সময়, মনোযোগ আর ভবিষ্যতকেও ধ্বংস করে ফেলছে।এ আসক্তির সবচে...
মুদ্রিত সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ: হারিয়ে যাওয়ার পথে, না কি রূপান্তরের সময়?

মুদ্রিত সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ: হারিয়ে যাওয়ার পথে, না কি রূপান্তরের সময়?

কলাম
লেখক: আসাদুল্লাহ আল গালিব: “আগে সকালে চা হাতে নিয়ে পেপার না পড়লে দিনটাই শুরু হতো না। এখন তো ছেলে আমার মোবাইলে হেডলাইন দেখে!” — ঢাকার পুরান ঢাকার ৬৫ বছরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের এই কথার মাঝে যেন ধরা পড়ে যাচ্ছে মুদ্রিত সংবাদপত্রের এক টুকরো অতীত। একসময় যা ছিল প্রতিটি ঘরের নিত্য প্রয়োজন, সময়ের আবর্তে তা আজ স্মৃতি ও অভ্যাসের গহীনে হারিয়ে যাওয়ার পথে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—মুদ্রিত সংবাদপত্র (Print Media) কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে? নাকি এটি কেবল একটি রূপান্তরের সময় পার করছে? ঐতিহাসিক গৌরবের পথচলা বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে সংবাদপত্র ছিল কেবল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যম নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। ১৮১৮ সালে প্রকাশিত ‘সমাচার দর্পণ’ থেকে শুরু করে ‘ইত্তেফাক’, ‘দৈনিক আজাদ’ কিংবা ’১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পত্রিকাগুলো ছিল স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর। সেসময় সংবাদপত্র মানে...
অলস অর্থ: সমস্যার না সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি?

অলস অর্থ: সমস্যার না সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি?

অর্থনীতি ও বাণিজ্য, কলাম
শোয়েব সাম্য সিদ্দিক, ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক: বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকলেও তা উৎপাদনমুখী খাতে প্রবাহিত হচ্ছে না। এই বৈপরীত্য দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। জুন ২০২৫-এর হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। একই সময়ে উদ্বৃত্ত তারল্য বা লিকুইড অর্থের পরিমাণ পৌঁছেছে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ ব্যাংকের কাছে বিপুল অর্থ রয়েছে, কিন্তু তা বিনিয়োগ বা উৎপাদনমুখী খাতে প্রবাহিত হচ্ছে না। তাত্ত্বিকভাবে ব্যাংকে অর্থের এই সঞ্চয় বিনিয়োগের জন্য সুযোগ তৈরি করে। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই অর্থের একটি বড় অংশ নিরাপদ সরকারি ট্রেজারি বিল, বন্ড বা ব্যাংকের ভল্টে আটকে রয়েছে। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি ধীর হচ্ছে, শিল্প ও উৎপাদনমূলক খাতে ঋণ প্রবাহ সীমিত হচ্ছে এবং অর্থনীতিতে কিছ...
রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু কালচারাল ফ্যাসিজমের ছায়া এখনো বিস্তৃত

রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু কালচারাল ফ্যাসিজমের ছায়া এখনো বিস্তৃত

কলাম
মাহবুব আলম  রাজনৈতিক স্বৈরশাসনের পতন অনেক সময়ই জনতার বিজয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। ইতিহাস বলে, ক্ষমতার দমনচক্র একসময় থামে, জনগণ রাস্তায় নামে, শাসকের পতন ঘটে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—শুধু একজন শাসকের সরে যাওয়া মানেই কি ফ্যাসিবাদের অবসান? দুর্ভাগ্যজনকভাবে, উত্তর হলো—না। কারণ, রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ যখন বিদায় নেয়, তখনও তার চিন্তা, চর্চা ও চেতনার উত্তরাধিকার বয়ে বেড়ায় এক শ্রেণির মানুষ—যাদের আমরা আজকাল চিহ্নিত করছি “কালচারাল ফ্যাসিস্ট” হিসেবে। কালচারাল ফ্যাসিজম মূলত একটি চিন্তাগত ও মানসিক কাঠামো, যা সামাজিক সংস্কৃতি, মিডিয়া, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প, সাহিত্য এমনকি ধর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের মতামত, আচরণ ও চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এটি সরাসরি আইন দিয়ে নয়, বরং অনৈক্য, ভয়, মানসিক বিভ্রান্তি এবং তথাকথিত নৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা বলে দেয়—কী বলা যা...
মাদকের ভয়াল থাবা কেড়ে নিচ্ছে কিশোরদের ভবিষ্যৎ

মাদকের ভয়াল থাবা কেড়ে নিচ্ছে কিশোরদের ভবিষ্যৎ

কলাম
স্বপন বিশ্বাস বাংলাদেশে আজ নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে এক ভয়ঙ্কর মহামারি—মাদক। এর সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে কিশোর প্রজন্ম। যে বয়সে তাদের বই-খাতা হাতে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে কথা, মাঠে খেলাধুলা করতে কথা, দেশ গড়ার স্বপ্ন আঁকতে কথা—সে বয়সেই তারা ডুবে যাচ্ছে মাদকের অন্ধকারে। প্রতিদিন অগণিত কিশোর হারিয়ে যাচ্ছে এই ভয়াল নেশার ছোবলে।কেন ঝুঁকছে কিশোররা?কিশোরদের মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার পেছনে রয়েছে নানা কারণ।বন্ধু মহলের প্রভাব এবং কৌতূহলপারিবারিক অশান্তি ও অবহেলাখেলাধুলার মাঠ হারিয়ে যাওয়া, অবসর সময়ের অপব্যবহারমাদকের সহজলভ্যতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতাএই সবগুলো মিলেই কিশোররা বিপথে যাচ্ছে, হারাচ্ছে ভবিষ্যতের আলো।ভয়াবহ প্রভাবমাদক একবার জীবনে প্রবেশ করলে তা শুধু শরীরকেই ক্ষয় করে না, ধ্বংস করে মনন, শিক্ষা ও সামাজিক বন্ধন। কিশোররা পড়াশোনায় মনোযোগ হারায়, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। অনেকেই চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ, হত্...
শিক্ষিত বেকার বাড়ার হার উদ্বেগজনক

শিক্ষিত বেকার বাড়ার হার উদ্বেগজনক

কলাম
 আমিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত ১০ বছরে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার বেড়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রী পাশ করে বের হচ্ছেন। কিন্তু সে তুলনায় তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। যদিও এই মুহূর্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার লাখের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু এসব পদ পূরণে তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। আর বতর্মানে শ্রমবাজারে ২৬-২৮ লাখ কর্মক্ষম বেকার রয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। বিশেষজ্ঞদের অভিমত-দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনীন বা কর্মমুখী নয়। তাই শিক্ষার সঙ্গে কর্মের সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কর্মহীন বিপুল এ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে সরকারের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। বাস্তবতাবিমুখ শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার বাণিজ্যি...
ইসরায়েল গাজা দখল করছে অপরাধস্থল গোপন করতে

ইসরায়েল গাজা দখল করছে অপরাধস্থল গোপন করতে

কলাম
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের আজ সকালের খবর পড়লে মনে হতে পারে, গাজার ওপর সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইচ্ছা নতুন কোনো পরিকল্পনা। কিন্তু ২০০০ পাউন্ডের বোমা ফেলা কখনো বন্দিদের উদ্ধার করে না, আর গোটা পাড়া-মহল্লা মুছে দেওয়ার পেছনে সেগুলোর জায়গায় কিছু নির্মাণের পরিকল্পনাই থাকে। শুক্রবার, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের অনুমোদন দিয়েছে, যা এই গণহত্যার শুরু থেকেই চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল। পরিকল্পনাটি একটি সুপরিকল্পিত ধাপ মেনে চলে: প্রথমে ধ্বংস, তারপর অনাহারে রাখা, দখল, নিরস্ত্রীকরণের দাবি, এবং অবশেষে পূর্ণ জাতিগত নিধন—যখন ফিলিস্তিনিদের কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রতিরোধের সামর্থ্য থাকবে না। এইভাবেই “গ্রেটার ইসরায়েল”–এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু এই দখল এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কারণ কী—২২ মাসের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পর? কারণ অপরাধস্...