
চিঠিতে লেখা ভালোবাসা
একেএম নাজমুল আলম
একপল্লবপুর গ্রামের শেষ মাথায় একচালা খড়ের ঘরে বাস মালতির। গরীব ঘরের মেয়ে, তবু চোখে তার স্বপ্নের দীপ্তি। পিতৃহীন সংসারে মা-ই তার পৃথিবী। স্কুলের গণ্ডি পার করার পর বইয়ের পাতায় মুখ না গুঁজে সে গুঁজে রেখেছিল মায়ের ঔষধের প্রেসক্রিপশন আর ভাতের মাপ। জীবন তার কাছে এক বিশাল যুদ্ধ, আর প্রতিদিন সকালটা যেন সেই যুদ্ধে অস্ত্র হাতে নামা।
অন্যদিকে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের বাড়ি রাজীবের। ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের একমাত্র সন্তান। বিলাসী জীবনযাপন, বিদেশি গাড়ি, ঢাউস বাংলো, মুঠোফোনে লাখ টাকার খরচ। তবু তার ভিতরটা ছিল একা। বাবার ব্যস্ততা আর মায়ের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের দায়ে সে হয়ে উঠেছিল নিঃসঙ্গ।
দুইগল্পের শুরু এক সাদা খামে। মালতি প্রতি শুক্রবারে ডাকঘরের সামনে বসে চিঠি লিখত—তার কল্পনার এক ‘অচেনা বন্ধু’কে। সেখানে সে লিখত তার মন খারাপ, মা অসুস্থ, পড়াশোনার ইচ্ছে আর একদিন নিজের পায়ে দ...