Wednesday, October 1
Shadow

Tag: গবেষণা

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় ঝাল খাবার: চীনা গবেষণা

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় ঝাল খাবার: চীনা গবেষণা

বিদেশের খবর
চীনের সিছুয়ানের বাসিন্দাদের ঝালের প্রতি যে প্রেম, তা আজ স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। সিছুয়ানে ২১ বছর ধরে চলা এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মরিচ খাওয়া মানুষের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সম্প্রতি চাইনিজ জার্নাল অব এপিডেমিওলোজিতে প্রকাশিত গবেষণায় জানানো হয়, যারা সপ্তাহে ৬-৭ দিন ঝাল খায়, তাদের হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলজনিত রোগের ঝুঁকি ১১ শতাংশ কম। ছেংতু মেডিকেল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও গবেষক দলের সদস্য ছেন সিয়াওফাং জানান, ২০০৪ সাল থেকে ৩০-৭৯ বছর বয়সী সিছুয়ানের পেংচৌ শহরের ৫৪ হাজার ৮৫৯ জন বাসিন্দার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণার মূল ফলাফলে দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ঝাল খায়, তাদের ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি ১৪ শতাংশ, সেরিব্রোভাসকুলার রোগ (যেমন স্ট্রোক) হওয়ার ঝুঁকি ১২ শতাংশ এবং ইসকেমিক স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ কমে। হালকা...
বাকৃবি গবেষকদলের জৈব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায় ২৫% 

বাকৃবি গবেষকদলের জৈব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায় ২৫% 

ক্যাম্পাস, ফিচার
আরাফাত হোসাইন, বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও বালাইনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিপদে পড়েছে। বিষাক্ত এসব বালাইনাশক মানব স্বাস্থ্য, মাটি, পানি ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। দেশে বালাইনাশকের মধ্যে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার সর্বাধিক ৪৫-৪৬ শতাংশ, এরপর কীটনাশক ৩৩ শতাংশ এবং আগাছানাশক ২০-২১ শতাংশ। এগুলোর বেশির ভাগই মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে দেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও অনুজীব দিয়ে ফসলের উৎপাদন বর্ধক ও পরিবেশবান্ধব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। বাকৃবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মঞ্জিলের নেতৃত্বে গবেষক দলটি ট্রাইকোডার্মা এসপেরেলাম নামক ছত্রাক ব্যবহার করে একটি নতুন ছত্রাকনাশক উদ্ভাবন করেছেন যার নাম পি.জি. ট্রাইকোডার্মা। অধ্যাপক মঞ্জিল ছত্রাকটি ...

উচ্চশিক্ষা ও ভালো চাকরির পথে গবেষণাই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় সহচর

ফিচার, শিক্ষা
এক সময় কেবলমাত্র শিক্ষার একটি ধাপ হিসেবে বিবেচিত হতো উচ্চশিক্ষা। আজকের দিনে এসে উচ্চশিক্ষা মানেই যেন গবেষণার সঙ্গে এক অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ একটি অগ্রযাত্রা। শুধু স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেই চাকরি বা ক্যারিয়ারে সাফল্য আসবে—এই ধারণা এখন অনেকটাই পুরোনো। বর্তমানে, গবেষণাধর্মী শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনই হয়ে উঠেছে উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের মূল চাবিকাঠি, দেশেই হোক বা বিদেশে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জ্ঞান সৃষ্টি ও তার প্রয়োগ। আর সেই প্রয়োগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হলো গবেষণা। উন্নত বিশ্বে এমনকি আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশেও উচ্চশিক্ষা মানেই গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার অনুশীলন। গবেষণা শুধুমাত্র নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে না, বরং একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানে সক্ষম করে তোলে। দেশে কিংবা বিদেশে ভালো চাকরি ...
রাতের কৃত্রিম আলো বিষণ্নতা বাড়ায়: চীনা গবেষণা

রাতের কৃত্রিম আলো বিষণ্নতা বাড়ায়: চীনা গবেষণা

বিদেশের খবর
রাতের কৃত্রিম আলোর সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকলে বিষণ্ন আচরণ দেখা দিতে পারে—এ তথ্য উঠে এসেছে চীনা গবেষণায়। ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের আলো মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট স্নায়ুবিক পথ সক্রিয় করে যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মন-মেজাজে প্রভাব ফেলে। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের কুনমিং ইনস্টিটিউট এবং হ্যফেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই গবেষণায়, তিন সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে ২ ঘণ্টা করে নীল আলোতে রাখা হয় ট্রিশ্যু নামের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীকে। প্রাণীটার সঙ্গে মানুষের জিনগত মিল রয়েছে। আলোয় রাখার পর প্রাণীটার মধ্যে বিষণ্নতাসদৃশ আচরণ, খাবারের প্রতি অনাগ্রহ, খাবার অন্বেষণ ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দেখা যায়। গবেষকরা একটি নতুন ভিজ্যুয়াল সার্কিট শনাক্ত করেন, যেখানে চোখের বিশে...
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু নিয়ে গবেষণা, আসল কারণ তবে এটাই?

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু নিয়ে গবেষণা, আসল কারণ তবে এটাই?

জাতীয়
জয়নাল আবেদিনঃ  পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং "হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স" ২০১৭ সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকান নিউজ চ্যানেল "এনবিসি" তে একটা আশ্চর্যজনক ভিডিও প্রচার করা হয়। জেফ রোসেন নামের একজন রিপোর্টারের করা এক্সপেরিমেন্টাল রিপোর্ট। এক্সপেরিমেন্টের নাম "আসলেই কি ট্রেন লাইনে দাঁড়ালে পেছনে আসা ট্রেনের শব্দ শোনা যায় না?" এক্সপেরিমেন্টে পরে আসি। প্রথমে প্রেক্ষাপট। আমাদের অনেকেরই ধারণা ট্রেনে কাটা পড়ে কেবল বাংলাদেশীরাই মারা যায়। বাংলাদেশের মানুষজন বেকুব, ইতর। তারা সিগন্যাল মানে না। হেডফোন লাগিয়ে লাইনে হাঁটে। ট্রেনে কাটা পড়ার এটাই মূল কারণ। ট্রেনে চাপা পড়ার এটা অবশ্যই একটা কারণ, কিন্তু একমাত্র না। সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো কারণও নয়। মোবাইল ও হেডফোনের সঙ্গে মানুষের পরিচয়ের বয়স ১৫-২০ বছর। তার আগে কি এসব ঘটনা ঘটেনি? অনেক ঘটেছে, প্রচুর ঘটেছে। ব্রিটেনের মতো দেশে প্র...