Thursday, November 20
Shadow

ফিচার

ডিআইইউতে ইয়োগা প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ

ডিআইইউতে ইয়োগা প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ

ক্যাম্পাস, ঢাকা, বাংলাদেশ
মোঃ আল শাহারিয়া সুইট, ডিআইইউ : শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইয়োগা অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ইয়োগা কর্মশালা। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সাদা বিল্ডিংয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যাঁর মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মাঝে ইয়োগা চর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক প্রশান্তির গুরুত্ব তুলে ধরা। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক শাহ আলম চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র সাহা। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইয়োগা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হারুন...

ব্রাজিলের চোখে পানি 

কবিতা, সাহিত্য
মোঃ স্বাধীন মিয়া সবুজ আর হলুদে রাঙা,   একটা দল, একটাই ধ্বনি,   “সাম্বা নাচে ফুটবলের প্রাণ”,   সেই ব্রাজিল—সেই গর্ববাণী। মাঠে নামে আগুন নিয়ে,   পায়ের ছোঁয়ায় বাজে তান,   তবুও কেন থামে হৃদয়,   জয় হয় না প্রতিবারই জান! পেলেকে খুঁজে ফেরে চোখ,   মারাদোনা নয়, আজ নেইমার,   শত গোলের মাঝে লুকায়   এক হারানো সোনার ক্ষার। দর্শক চিৎকার, হাহাকার,   আকাশ জানে কান্নার স্বর,   বুকে গেঁথে হাজার পতাকা,   তবু চোখে জল—ব্রাজিলের! তবে কি ফুটবল থেমে যাবে?   না, নয়তো এ পথ চেনা।   এই কান্না, এই হারা স্বপ্নই   নতুন লড়াইয়ের বীজ বোনা। জয় আসবে আবার, একদিন,   গর্জে উঠবে বিজয়ের গান,...

কন্যার বিয়ের কর

কবিতা, সাহিত্য
নুর হোসেন ভূঁইয়া ঘাম ঝরিয়ে গড়লো এ ঘর, স্বপ্ন গড়ল একা, মেয়ের হাসি দেখার আশায়, বুক চেপে সহে ব্যথা। বড় করে তুলল যারে, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, দিলো নিকাহ সাদরে, হিসাব নিলো কে কভু? ইফতারি দিলো জামাই ঘরে, কুড়ি হাজার খরচ, টাকা কি আর গাছে ধরে; ধার দিয়েছে ছওড়া দরে, রক্ত ছুষে নিবে পরে। তবুও শুনতে হলো কথা “কম হয়েছে একটু নুন!” ঈদ এলে চায় না তো কিছুই, না দিলে কেবল বায়না বড়ায়, ফল দিতে হবে, গরু পাঠাও, নগদ টাকাকড়ি,আরও কত কি! কষ্টের হিসাব নাই। গ্রীষ্ম এলো; ফল না পাঠালে মনটা কালো; সাথে আরও কত কি! শীত এলেই পিঠা দিতে, আবার নতুন জ্বালা। শীত ফেরিয়ে বসন্ততে, কত কিছুর পালা। ও! নিকার সময়তো বাদই গেলো, তখন যে আরও কত কি! সংসার পৃথক হতে যত খরছ, তার ছাইতে কম কি! এদিকে ছেলে পরিক্ষা দেবে, ফর্ম ফিলাপে লাগে, ...
করোনার পর অ্যালার্জি বেড়েছে? ডাস্ট মাইট যা শরীরের সর্বনাশ করে দিতে পারে

করোনার পর অ্যালার্জি বেড়েছে? ডাস্ট মাইট যা শরীরের সর্বনাশ করে দিতে পারে

ফিচার, স্বাস্থ্য
ছবিটি দেখে আঁতকে উঠবেন না। আপনার বসার ঘরের সুদৃশ্য কার্পেটে, শোয়ার ঘরের বালিশে, চাদরে, কম্বলে, ম্যাট্রেসে এরা হাজারে হাজারে ছেয়ে থাকে। আপনি খালি চোখে এদের দেখতে পান না বলে চিনতে পারছেন না। এরা হচ্ছে ডাস্ট মাইট। এরা কোনো পোকা নয়, বরং মাকড়সার সঙ্গে বেশ কিছু মিল আছে এদের। আটটি ঠ্যাং, সর্বাঙ্গে লোম-- সব মিলিয়ে খুবই ভয়ানক দেখতে এদের। একটা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে আপনার বালিশটার দিকে তাকালে আপনি তার ওপর আর কিছুতেই ঘুমোতে পারতেন না। ডাস্ট মাইট বেশির ভাগ লোকের কোনো ক্ষতি করে না, কিন্তু যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে বলে আমরা বলি, তাদের আসলে অ্যালার্জিটা এদেরই জন্য হয়। না, এরা স্বয়ং আমাদের ক্ষতি করে না, করে এদের মল এবং পচাগলা দেহাংশ। আবার মলত্যাগ এরা খুব বেশিই করে, দিনে প্রায় কুড়ি বার। কারো কারো শরীরে এই বস্তুগুলি খুবই মারাত্মক অ্যালার্জিক রিয়্যাকশান ঘটায়। ফুলের রেণুর পর ডাস্ট মাইটের ড্রপিং...
এটা সারাজীবন লাগবে! সেভ করে রাখেন

এটা সারাজীবন লাগবে! সেভ করে রাখেন

ফিচার, স্বাস্থ্য
Clinicopathologically জন্ডিস তিন প্রকার।Haemolytic, Hepatic, Obstructive jaundice. এই তিন প্রকার জন্ডিসে ল্যাবরেটরি ভ্যালু কোনটাতে কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তাই নিয়েই এই পোস্ট। প্রথমে বলি, বিলিরুবিন এর কথা: সহজ ভাষায় বলি। RBC ভেঙ্গে বিলিরুবিন হবে। সেটা albumin  এর সাথে বাইন্ড হবে যা, Unconjugated বিলিরুবিন এবং পানিতে অদ্রবণীয়। তাই এটা ইউরিন এ যেতে পারেনা। সেই বিলিরুবিন লিভারে যাবে। হেপাটোসাইট তাদেরকে  glucoronic acid দিয়ে conjugated করে ফেলবে(এটা পানিতে দ্রবণীয়).  সেই কনজুগেটেড বিলিরুবিন bile duct দিয়ে intestine-এ যাবে। সেখানে কোলনের ব্যাকটেরিয়া তাকে stercobilinogen এ কনভার্ট করবে। stercobilinogen এর কিছু অংশ অক্সিডাইজ হয়ে stercobilin হবে। এই দুইটাই মলের সাথে বেরিয়ে যাবে। Stercobilinogen এর সামান্য কিছু অংশ absorb হয়ে লিভারে যাবে। সেখানে গিয়ে পুনরায় intes...
অনুভবে তুমি

অনুভবে তুমি

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী তোমার চোখ,মুখ,ঠোঁট আর তোমার দৃঢ় চিবুক  আমার এক একটি কবিতার  শাণিত শব্দ ভান্ডার। তোমার উত্তোলিত মুষ্টিবদ্ধ হাত আমাকে বিদ্রোহী করে তোলে, তোমার দু'চোখের গভীরে  আমি দেখি - আমার সমস্ত পৃথিবী। যখনই দেখি-তোমার বলিষ্ঠ বাহু আর উঁচু নাসিকা ঠিক তখনই  আমার দুচোখে ভেঁসে উঠে নদ-নদী পাহাড়-পর্বত পরিবেষ্টিত  আমার প্রাণপ্রিয় জন্মভুমি  সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। যখনই দেখি -  তোমার মিষ্টি হাসি আর  বাতাসে দোল খাওয়া  তোমার রেশমি চুলের বাহার ঠিক তখনই  যেন খিলখিলিয়ে হেসে উঠে  বাংলার সোনালী প্রান্তর। যখনই দেখি -  তোমার শাড়ির আঁচল ঠিক তখনই  আমার মনে হয় এ যেন পতপত করে বাতাসে দোল খাওয়া আমার প্রাণপ্রিয়  সেই লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।...
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে যুগোপযোগী সংস্কার : শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত, জানালেন উপাচার্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে যুগোপযোগী সংস্কার : শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত, জানালেন উপাচার্য

ফিচার, শিক্ষা
শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ইউনিভার্সিটি উইমেন্স ফেডারেশন কলেজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, "মানসিক সুস্বাস্থ্য গুণগত শিক্ষার অন্যতম ভিত্তি। একজন মানসিকভাবে সুস্থ শিক্ষার্থী পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে, নতুন বিষয় শেখার আগ্রহ ধরে রাখতে পারে এবং শেখার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা...
প্রয়াণ দিবসে মহাকবির পূণ্য স্মৃতিতে

প্রয়াণ দিবসে মহাকবির পূণ্য স্মৃতিতে

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
বৃষ্টি মাথায় দৌড়ে একপুরাতন ভবনের পোস্ট অফিসে  যখন আশ্রয় নিলাম ওখানে তখন একজন কর্মচারী কাজ করছেন। সবেমাত্র এসেছি এ এলাকায়। তবে ভিতরে গিয়ে চেয়ারটা দেখেই কেন যেন মনে হল এটি গুনী মানুষের  স্পর্শে গুনান্বিত একটি  ঐতিহাসিক স্মৃতি  স্মারক । আগলা পোস্ট অফিস ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। এখানেই  তো  জন্মে ছিলেন  মহাকবি  কায়কোবাদ । মোহাম্মদ কাজেম আল-কোরশী  ছিল  আসল নাম।  বাংলা সাহিত্য জগতে    ধ্রুব উজ্জ্বলতা  ছড়ানো  নক্ষত্র  মহাকবি  কায়কোবাদ।তিনি  তো কর্মজীবন কাটিয়েছন এ চেয়ারে বসে। এই পোস্ট  অফিসে ।  ছুয়ে দেখি মহাকবি-র  পূণ্য  বিজারিত  স্মৃতি  চিহ্ন ।  সুদীর্ঘ কাল নবাবগঞ্জ কর্মজীবনে আমার  পরম সৌভাগ্য হয়েছে কবির জন্ম ভিটায় সুনিমর্ল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে  নেওয়ার...
কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রাম ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রাম ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ, ভ্রমণ
ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম : কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছালে চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইমাম হোসেন রানা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি মেয়রকে ফুল দিয়ে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানান। ২৪ জুলাই শুক্রবার, দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ চট্টগ্রামে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মেয়র।  এর আগে কানাডা সফর শেষে বুধবার রাতে ঢাকা পৌঁছে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বাৎসরিক মূল্যায়নে দেশের ১২ সিটি কর্পোরশনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম হওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ...
জাদুর পুকুর

জাদুর পুকুর

গল্প, ফিচার, সাহিত্য
ওমর ফারুক আশরাফি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কুলিকুন্টা গ্রামটি শান্ত-নিবিড় প্রকৃতির এক অপূর্ব কোণে অবস্থিত। এই গ্রামেরই এক প্রান্তে আছে প্রাচীন এক আমবাগান, আর সেই বাগানের পেছনে ছায়া ঢাকা একটি পুকুর। পুকুরটি ঘিরে ছড়িয়ে আছে বহু রহস্যময় গল্প ও লোককথা। সে পুকুরের পাশে দাঁড়ালে আজও যেন বাতাসে ভেসে আসে এক অতীতের গন্ধ, এক অদ্ভুত শিহরণ। পুকুরটির পাশেই রয়েছে ভূঁইয়া বাড়ি—একসময়ে যার নাম উচ্চারণেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়তো সম্মান আর গৌরব। বড়, প্রাচীন, দোতলা সেই বাড়িটি ছিল ধন-সম্পদ, আতিথেয়তা ও ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। নানুর মুখে শুনেছি, সেই বাড়িতে যখনই কোনো বিয়ের আয়োজন হতো, পুকুর থেকে স্বর্ণের থালা-বাটি ভেসে উঠতো। কেউ জানতো না ওগুলো কোথা থেকে আসে, কারা রেখে যায়, তবে সবাই জানতো—এটা ছিল এক আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ। ভূঁইয়া বাড়ির বড় ছেলে ছিলেন আভু ভূঁইয়া। সৌম্য চেহারা, দৃঢ়চেতা মন ও দরদভরা হ...