Thursday, November 20
Shadow

ফিচার

“চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত স্বদেশ”

কবিতা, সাহিত্য
আশরাফ বিন হানিফ  চাঁদাবাজ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত সোনার বাংলা চাই, মোরা সোনার বাংলা চাই, মোরা শান্তিরই গান গাই। মোদের এই জন্মভূমি, এই যে প্রিয় দেশ, চাঁদাবাজির থাবায় আজও সব নিঃশেষ। সন্ত্রাসের কালো ছায়ায় জীবন আজ আঁধারে, শান্তির পরশ চাইছি মোরা, সবারই অন্তরে। কত শত স্বপ্ন দেখেছি, সোনার এই দেশ নিয়ে, আগামীর দিন সাজাবো, সকলে মিলেমিশে। অশান্তির কালো মেঘে, চতুর্দিকে ভয় ছড়ায়, আলোর দিশা দেখাতে, কে আছো কোথায়? সুন্দর সমাজ গড়তে, ভেদাভেদ ভুলে যাই, একসাথে মিলেমিশে, নতুন দেশ গড়বো ভাই। শিশুরা হাসবে হেসে, মায়েরা পাবে সুখ, নিরাপদ থাকবে সবাই, থাকবে না কোনো দুখ। কৃষকের মাঠে ফসল ফলবে, শ্রমিকের ঘাম ঝরবে,  সেই ফসল খেয়ে দেশের মানুষ, সুখে দিন কাটাবে। মোদের এই জন্মভূমি, এই যে প্রিয় দেশ, চাঁদাবাজির থাবায় আর সব হবে না নিঃশেষ। ReplyForwardAdd reaction...
অশ্বগন্ধা গোপন শক্তির ভাণ্ডার এক বিস্ময়কর ঔষধি গাছ

অশ্বগন্ধা গোপন শক্তির ভাণ্ডার এক বিস্ময়কর ঔষধি গাছ

বাংলাদেশ, স্বাস্থ্য
একেএম নাজমুল আলম : প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত এক শক্তিশালী ঔষধি গাছের নাম অশ্বগন্ধা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যার নাম "রসায়ন"। কারণ, এটি শরীরের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেকের কাছেই এই গাছটি এখনো অজানা। অথচ অশ্বগন্ধা গাছের শেকড়, পাতা ও ফল আজ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেও মূল্যবান ওষুধে পরিণত হয়েছে। গাছের পরিচিতি বৈজ্ঞানিক নাম: Withania somnifera স্থানীয় নাম: অশ্বগন্ধা গোত্র: Solanaceae উচ্চতায় গাছটি সাধারণত ২ থেকে ৪ ফুট লম্বা হয়। এর শিকড় থেকে আসে এক ধরনের ঘ্রাণ, যা অনেকটা ঘোড়ার মতো—সেখান থেকেই এসেছে নাম: অশ্ব (ঘোড়া) + গন্ধা (গন্ধ)।  অজানা তথ্য: অশ্বগন্ধাকে বলা হয় "ভারতীয় জিনসেং" – কারণ এটি শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ায়। এটি একটি অ্যাডাপটোজেনিক গাছ, অর্থাৎ মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, অশ্বগন্ধা শরীরে কর্টিসল না...

তুলসী গাছ: অজানা গুণে ভরা প্রাকৃতিক চিকিৎসালয়

বাংলাদেশ, স্বাস্থ্য
একেএম নাজমুল আলম : প্রতিদিন সকালে বাড়ির উঠোনে ধূপ-ধুনো দিয়ে যাকে ঘিরে পূজা হয়, যার গন্ধে মন শান্ত হয়, সে গাছটি হলো তুলসী। শুধু ধর্মীয় বা আচারিক দিক থেকেই নয়, তুলসী গাছ এক অসাধারণ ঔষধি গাছ—যার গুণাবলি আজও অনেকের অজানা। তুলসী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum sanctum বা Ocimum tenuiflorum। এটি Lamiaceae গোত্রভুক্ত একটি সুগন্ধিযুক্ত উদ্ভিদ। বাংলাদেশে সাধারণত দুটি প্রজাতির তুলসী দেখা যায়: 1. শ্যামা তুলসী (কালচে বর্ণ) 2. রাম তুলসী (সবুজ বর্ণ) * তুলসী পাতায় রয়েছে ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। * তুলসী গাছ বাতাসের বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে, ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। *  তুলসীর গন্ধ মশা তাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়। * প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তুলসীকে “জীবনের রক্ষাকবচ” বলা হয়েছে। * ত...
পরিবেশ-পর্যটন রক্ষায় কক্সবাজারে জবি প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

পরিবেশ-পর্যটন রক্ষায় কক্সবাজারে জবি প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

ক্যাম্পাস, ফিচার
জবি প্রতিনিধি: পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের (জবি প্রেসক্লাব) উদ্যোগে কক্সবাজারে সচেতনতামূলক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্ট্যান্ড ফর ন্যাচার, স্পিক ফর ট্যুরিজম: এওয়ারনেস প্রোগ্রাম ইন কক্সবাজার’ ও ‘পলিউশন ফ্রি কক্সবাজার আউয়ার প্রমিস’ স্লোগানকে ধারণ করে এ মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষায় সবাইকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টায় কক্সবাজারের কলাতলী সমুদ্রসৈকতের স্যান্ডি বীচ রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও দেশ টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি...
বিস্ময়কর পবিত্র স্থান

বিস্ময়কর পবিত্র স্থান

ইসলাম, ফিচার
এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদগুলি আবিষ্কার করুন যা ইসলামিক সংস্কৃতি, স্থাপত্যিক সৌন্দর্য এবং মহত্ত্বে সমৃদ্ধ যা একটি দর্শনীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে। শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ: আবু ধাবিতে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদের মধ্যে একটি।মসজিদটির স্থাপত্য নকশা আরব, ফারসি, মুঘল ও মরিশ শৈলীর মিশ্রণ। আল-বুখারী মসজিদ: মালয়েশিয়ায় আলোর সেটারে অবস্থিত,এটির সাতটি শীর্ষ আকৃতির নীল গম্বুজ রয়েছে এবংপ্রধান গম্বুজটিতে জটিল আরবিয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ: ওমানে অবস্থিত, মসজিদটির প্রার্থনা হল এলাকার মেঝেতেপৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাতে বোনা কার্পেট রয়েছে। উবুদিয়া মসজিদ: পেরাকে অবস্থিত, এটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর মসজিদগুলির মধ্যে একটি।ব্রিটিশ স্থপতি দ্বারা নির্মিত, এতে মুঘল এবং মরিশ নকশার  উপাদান রয়েছে। নীল মসজিদ: Th...
রক্তের দাগ

রক্তের দাগ

কবিতা, সাহিত্য
সজীম শাইন তিপ্পান্ন বছরে প্রসারিত বাংলার সীমাচোখ যায় যদ্দুর--তারুণ্যের রক্তেরদাগ ছুঁয়েছে মাটি,ছুঁয়েছে সমুদ্দুর। মহাবিশ্ব বিস্ময়ে দেখেছে নতুন প্রজন্মের বীরত্বপূর্ণ সাহসী মুখ,অধিকার আদায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আজ নব্য রাজাকারের বুক। একাত্তর, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন,সব হয়েছে ম্লান,স্বাধীনতার ভেতরেই পরাধীনতার গ্লানি, ঝরেছে তাজাপ্রান। ছাত্র জনতা জেগেছে,শহীদ হয়েছেআত্মত্যাগী বীর সৈনিক,যুবক-যুবতী, প্রেমিক-প্রেমিকা নির্ভয়ে সংগ্রাম করেছে দৈনিক। বৈষম্যবিরোধী মেধাবী ভাইবোন মিলেভুলে গেছে রাতদিন,রাজাকারের রক্তে আগুন লেগেই তোদেশটা হয়েছে স্বাধীন। দুর্গাপুর, নেত্রকোণা।...
মৃত্যুর অজানা ডাক

মৃত্যুর অজানা ডাক

কবিতা, সাহিত্য
সাবিত রিজওয়ান দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী—সুখ-দুঃখে থাকে প্রহরে,হয়তো কখনো এই জীবনে মরিচীকা ধরে।কবে যেন মৃত্যু হঠাৎ করে ডাকে আমায়,চলে যেতে হবে একা—সব কিছু ছেড়ে হায়।কেউ শত্রুতায়, কেউ মিত্রতায় বলবে, "বিদায় হয়েছে আপদ",কেউ থাকবে শোক পালনে, কেউ দেখাবে মিছে দরদ। দুনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়।জানিনা কতগুলো পাপ করেছি, কতটুকু নেক আমলনামায়।মরণ কালে যেন কালেমা আমার মুখে হয় উচ্চারিত, ওগো মালিক,দিও ইমান প্রাপ্তির তৌফিক, করুণার অমল ধ্বনিক।হয়তো সকলের কাছে আর কখনো মাফ চাওয়ার সুযোগ না-ও পেতে পারি,তাই আজই চাচ্ছি মাফ—যদি তিল কিংবা পাহাড়সম ক্ষতি করি। আমার রুহের মুক্তির আশায় কেউ কি কখনো কাঁদবে?ভালবেসে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবে?জানিনা পরকালে কোথায় পাব ঠাঁই—জান্নাত নাকি জাহান্নাম—ভাবলেই বুকের মাঝে আশঙ্কা দেয়।মরণের কথা স্মরণ কর,কবর ডাকে সত্তর বার।...
বৃত্তে বন্দি জীবন

বৃত্তে বন্দি জীবন

কবিতা, সাহিত্য
হাসান মাহমুদ বৃত্তে বন্দি জীবন আমারচিত্ত উদাস উদাস,পরাণ আমার মুক্ত আকাশ—শিকলবন্দি বাস। মুক্ত আবাস খুঁজছি আমিশীত হাওয়ার দোল,যেমন থাকে পাকপাখালিযেমন মায়ের কোল।
আহমেদ বিশালের ৩টি কবিতা

আহমেদ বিশালের ৩টি কবিতা

কবিতা, সাহিত্য
গোধুলি ক্ষনের কাব্য  গোধুলি মেখেছে সোনালী ধুলো  ‎রূপে যেনো নেই কমতি তাহার,  ‎কখন মেলেছে রুপালি ডানা ‎দ্যুতি ভরা তার দিপ্ত বাহার। ‎ ‎গোধুলি যেনো আজ চিত্তাকর্ষক  ‎ধুলো মাখা তার রুপের গড়ন,  ‎ধু ধু ফসলের মাঠটি পেরিয়ে ‎অপারে যে হয় সূর্য হরন। ‎ ‎গোধুলি পড়েছে রঙিন শাড়ি ‎পুরোটা জুড়ে যে নকশা কঠিন  ‎ধুলিকনা মাখা তাহার আঁচল  ‎হলুদাভ তার শাড়ির জমিন। ‎ ‎গোধুলি নেমেছে পথে প্রান্তের  ‎আকাশে পড়েছে মেঘে মেঘে ভাজ ‎মেঘফুল তবু ফুটে ফুটে মেঘে ‎মোহনীয় রূপ ছড়ায়ে যে আজ। জীবনের কলতান  পবনে লেগছে দোলা বাতাস ছুটছে নীলে আঁখি খুলে বসে আছি  জীবনকে ছেড়ে দিয়ে। জীবনকে ছেড়ে দিয়ে চেয়ে থাকি আমি ঐ ঘাসে ঢাকা ভূমিটাতে কচুবন মাথা নাড়ে  জীবনের মতো করে। আকাশে পাখিরা ওরে  নী...