Monday, November 17
Shadow

সাহিত্য

The stories and poetry of Bangladeshi writers and poets will be published in this category. Bangladesh has many promising writers who we believe can easily make their own place in the world literature arena.

অতিক্রান্ত পথে দেখা

অতিক্রান্ত পথে দেখা

কবিতা, সাহিত্য
আহমেদ বিশাল অনেক দূরে ইচ্ছা আমার অনেক কাছে স্বপ্ন ভীষণ  দূরের পথে ঝাপ দিয়েছি কাছের পথে পেরিয়ে সে ক্ষন। পথের মাঝে তোমার আভাস শিউলি হাতে দাঁড়িয়ে তুমি তোমায় দেখে আমার এমন নিজেকে বলে একটু থামি। থামবো বলে তোমার কাছে পিছনে ফিরে আবারও তাকাই তাকিয়ে তোমার চোখের দিকে স্তব্ধ হয়ে নিজেকে হারাই। হারানো মানে তোমার তরে প্রেমের মোড়ে নিজেকে পাওয়া তোমার কাছে মেঘ এনেছি  তাই,মেঘের কাছে তোমাকে চাওয়া। দাঁড়িয়ে তুমি তাকিয়ে ভীষণ  সরল মনে আমার পানে তোমায় দেখে আমার এ মন রাঙিয়ে ওঠে কোনো রঙিন গানে। একক সুরে গান লিখেছি  দেখবে তুমি আমার সে গান? দেখার পরে উঠবে ভরে  আমার জন্য তোমার ঐ প্রাণ? মাতাল হাওয়া তোমার মতোই  আমায় করে ওলট-পালট  অতিক্রান্ত স্বপ্ন পথে ধরবে আমার সাথে সে-জোট?...
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র স্যানালের কথা

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র স্যানালের কথা

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
নিভারাণী সান্যাল: দেবেশ চন্দ্র সান্যাল একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নাধীন রতনকান্দি গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের “অপারেশন সার্চ লাইট” শুরু হলে বাঙালি সৈন্য, পুলিশ, ইপিআর ও অন্যান্যরা প্রথমে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। ২৬ মার্চ’৭১ মধ্য রাতের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ২৬ মার্চ’৭১ এর পর পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যরা সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করে বসে। তারা নির্বিচারে, হত্যা,গণহত্যা, জ¦ালাও, পোড়াও, ধর্ষণ, নিপিড়ন ও অন্যান্য মানবতা বিরোধী নৃশংসতম কাজ করে। জীবন বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন নরনারী ভারতে আশ্রয় নেয়। বাঙালি আর্মি, ই.পি.আর.ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যগণ মুক্তিফৌজে ও কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও অন্যান্য নর-নারী বাংলাদেশ কে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। বাংলাদেশের প্রশিক্ষণহীণ কৃষ...

“চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত স্বদেশ”

কবিতা, সাহিত্য
আশরাফ বিন হানিফ  চাঁদাবাজ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত সোনার বাংলা চাই, মোরা সোনার বাংলা চাই, মোরা শান্তিরই গান গাই। মোদের এই জন্মভূমি, এই যে প্রিয় দেশ, চাঁদাবাজির থাবায় আজও সব নিঃশেষ। সন্ত্রাসের কালো ছায়ায় জীবন আজ আঁধারে, শান্তির পরশ চাইছি মোরা, সবারই অন্তরে। কত শত স্বপ্ন দেখেছি, সোনার এই দেশ নিয়ে, আগামীর দিন সাজাবো, সকলে মিলেমিশে। অশান্তির কালো মেঘে, চতুর্দিকে ভয় ছড়ায়, আলোর দিশা দেখাতে, কে আছো কোথায়? সুন্দর সমাজ গড়তে, ভেদাভেদ ভুলে যাই, একসাথে মিলেমিশে, নতুন দেশ গড়বো ভাই। শিশুরা হাসবে হেসে, মায়েরা পাবে সুখ, নিরাপদ থাকবে সবাই, থাকবে না কোনো দুখ। কৃষকের মাঠে ফসল ফলবে, শ্রমিকের ঘাম ঝরবে,  সেই ফসল খেয়ে দেশের মানুষ, সুখে দিন কাটাবে। মোদের এই জন্মভূমি, এই যে প্রিয় দেশ, চাঁদাবাজির থাবায় আর সব হবে না নিঃশেষ। ReplyForwardAdd reaction...
রক্তের দাগ

রক্তের দাগ

কবিতা, সাহিত্য
সজীম শাইন তিপ্পান্ন বছরে প্রসারিত বাংলার সীমাচোখ যায় যদ্দুর--তারুণ্যের রক্তেরদাগ ছুঁয়েছে মাটি,ছুঁয়েছে সমুদ্দুর। মহাবিশ্ব বিস্ময়ে দেখেছে নতুন প্রজন্মের বীরত্বপূর্ণ সাহসী মুখ,অধিকার আদায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আজ নব্য রাজাকারের বুক। একাত্তর, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন,সব হয়েছে ম্লান,স্বাধীনতার ভেতরেই পরাধীনতার গ্লানি, ঝরেছে তাজাপ্রান। ছাত্র জনতা জেগেছে,শহীদ হয়েছেআত্মত্যাগী বীর সৈনিক,যুবক-যুবতী, প্রেমিক-প্রেমিকা নির্ভয়ে সংগ্রাম করেছে দৈনিক। বৈষম্যবিরোধী মেধাবী ভাইবোন মিলেভুলে গেছে রাতদিন,রাজাকারের রক্তে আগুন লেগেই তোদেশটা হয়েছে স্বাধীন। দুর্গাপুর, নেত্রকোণা।...
মৃত্যুর অজানা ডাক

মৃত্যুর অজানা ডাক

কবিতা, সাহিত্য
সাবিত রিজওয়ান দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী—সুখ-দুঃখে থাকে প্রহরে,হয়তো কখনো এই জীবনে মরিচীকা ধরে।কবে যেন মৃত্যু হঠাৎ করে ডাকে আমায়,চলে যেতে হবে একা—সব কিছু ছেড়ে হায়।কেউ শত্রুতায়, কেউ মিত্রতায় বলবে, "বিদায় হয়েছে আপদ",কেউ থাকবে শোক পালনে, কেউ দেখাবে মিছে দরদ। দুনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়।জানিনা কতগুলো পাপ করেছি, কতটুকু নেক আমলনামায়।মরণ কালে যেন কালেমা আমার মুখে হয় উচ্চারিত, ওগো মালিক,দিও ইমান প্রাপ্তির তৌফিক, করুণার অমল ধ্বনিক।হয়তো সকলের কাছে আর কখনো মাফ চাওয়ার সুযোগ না-ও পেতে পারি,তাই আজই চাচ্ছি মাফ—যদি তিল কিংবা পাহাড়সম ক্ষতি করি। আমার রুহের মুক্তির আশায় কেউ কি কখনো কাঁদবে?ভালবেসে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবে?জানিনা পরকালে কোথায় পাব ঠাঁই—জান্নাত নাকি জাহান্নাম—ভাবলেই বুকের মাঝে আশঙ্কা দেয়।মরণের কথা স্মরণ কর,কবর ডাকে সত্তর বার।...
বৃত্তে বন্দি জীবন

বৃত্তে বন্দি জীবন

কবিতা, সাহিত্য
হাসান মাহমুদ বৃত্তে বন্দি জীবন আমারচিত্ত উদাস উদাস,পরাণ আমার মুক্ত আকাশ—শিকলবন্দি বাস। মুক্ত আবাস খুঁজছি আমিশীত হাওয়ার দোল,যেমন থাকে পাকপাখালিযেমন মায়ের কোল।
আহমেদ বিশালের ৩টি কবিতা

আহমেদ বিশালের ৩টি কবিতা

কবিতা, সাহিত্য
গোধুলি ক্ষনের কাব্য  গোধুলি মেখেছে সোনালী ধুলো  ‎রূপে যেনো নেই কমতি তাহার,  ‎কখন মেলেছে রুপালি ডানা ‎দ্যুতি ভরা তার দিপ্ত বাহার। ‎ ‎গোধুলি যেনো আজ চিত্তাকর্ষক  ‎ধুলো মাখা তার রুপের গড়ন,  ‎ধু ধু ফসলের মাঠটি পেরিয়ে ‎অপারে যে হয় সূর্য হরন। ‎ ‎গোধুলি পড়েছে রঙিন শাড়ি ‎পুরোটা জুড়ে যে নকশা কঠিন  ‎ধুলিকনা মাখা তাহার আঁচল  ‎হলুদাভ তার শাড়ির জমিন। ‎ ‎গোধুলি নেমেছে পথে প্রান্তের  ‎আকাশে পড়েছে মেঘে মেঘে ভাজ ‎মেঘফুল তবু ফুটে ফুটে মেঘে ‎মোহনীয় রূপ ছড়ায়ে যে আজ। জীবনের কলতান  পবনে লেগছে দোলা বাতাস ছুটছে নীলে আঁখি খুলে বসে আছি  জীবনকে ছেড়ে দিয়ে। জীবনকে ছেড়ে দিয়ে চেয়ে থাকি আমি ঐ ঘাসে ঢাকা ভূমিটাতে কচুবন মাথা নাড়ে  জীবনের মতো করে। আকাশে পাখিরা ওরে  নী...

ব্রাজিলের চোখে পানি 

কবিতা, সাহিত্য
মোঃ স্বাধীন মিয়া সবুজ আর হলুদে রাঙা,   একটা দল, একটাই ধ্বনি,   “সাম্বা নাচে ফুটবলের প্রাণ”,   সেই ব্রাজিল—সেই গর্ববাণী। মাঠে নামে আগুন নিয়ে,   পায়ের ছোঁয়ায় বাজে তান,   তবুও কেন থামে হৃদয়,   জয় হয় না প্রতিবারই জান! পেলেকে খুঁজে ফেরে চোখ,   মারাদোনা নয়, আজ নেইমার,   শত গোলের মাঝে লুকায়   এক হারানো সোনার ক্ষার। দর্শক চিৎকার, হাহাকার,   আকাশ জানে কান্নার স্বর,   বুকে গেঁথে হাজার পতাকা,   তবু চোখে জল—ব্রাজিলের! তবে কি ফুটবল থেমে যাবে?   না, নয়তো এ পথ চেনা।   এই কান্না, এই হারা স্বপ্নই   নতুন লড়াইয়ের বীজ বোনা। জয় আসবে আবার, একদিন,   গর্জে উঠবে বিজয়ের গান,...

কন্যার বিয়ের কর

কবিতা, সাহিত্য
নুর হোসেন ভূঁইয়া ঘাম ঝরিয়ে গড়লো এ ঘর, স্বপ্ন গড়ল একা, মেয়ের হাসি দেখার আশায়, বুক চেপে সহে ব্যথা। বড় করে তুলল যারে, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, দিলো নিকাহ সাদরে, হিসাব নিলো কে কভু? ইফতারি দিলো জামাই ঘরে, কুড়ি হাজার খরচ, টাকা কি আর গাছে ধরে; ধার দিয়েছে ছওড়া দরে, রক্ত ছুষে নিবে পরে। তবুও শুনতে হলো কথা “কম হয়েছে একটু নুন!” ঈদ এলে চায় না তো কিছুই, না দিলে কেবল বায়না বড়ায়, ফল দিতে হবে, গরু পাঠাও, নগদ টাকাকড়ি,আরও কত কি! কষ্টের হিসাব নাই। গ্রীষ্ম এলো; ফল না পাঠালে মনটা কালো; সাথে আরও কত কি! শীত এলেই পিঠা দিতে, আবার নতুন জ্বালা। শীত ফেরিয়ে বসন্ততে, কত কিছুর পালা। ও! নিকার সময়তো বাদই গেলো, তখন যে আরও কত কি! সংসার পৃথক হতে যত খরছ, তার ছাইতে কম কি! এদিকে ছেলে পরিক্ষা দেবে, ফর্ম ফিলাপে লাগে, ...