Wednesday, October 1
Shadow

সাহিত্য

The stories and poetry of Bangladeshi writers and poets will be published in this category. Bangladesh has many promising writers who we believe can easily make their own place in the world literature arena.

মৃতের ফেরত যাত্রা 

গল্প, সাহিত্য
সাবিত রিজওয়ান সেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছি। মাঝপথে: চান্দিমা বাইপাসের ধারে কিছু হোটেলের সাইনবোর্ড চোখে পড়তেই শাহ আলম কাক্কু বলে উঠলেন,"তুফান, সামনের হোটেলে ট্রাকটা দাঁড় করাও। অনেক চালাইছো, এখন একটু লাঞ্চ করতে হবে"। কথাটা বলতে আমরা পৌঁছে গেলাম একটা রোডসাইট হোটেলে। আমরা মালবাহী গাড়ি চালাই; তাই কখনো কখনো যাত্রীবাহী গাড়ীর ড্রাইভার-হেল্পারদের তুলনায় একটু দু-চার মিনিট বেশি রেস্ট নিতে পারি। আজকেও ঠিক তাই—ডিমভাজা দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে রেস্ট নিচ্ছি।  পকেট থেকে স্মার্টফোনটা বের করে ডাটা অন করামাত্রই ফোনে নোটিফিকেশনের হিড়িক পড়ে গেল। "Clear All"-এ ক্লিক করতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই চোখে পড়ল এক অদ্ভুত খবর‌‌‍— "দু'মাস আগের মৃত মানুষ, গত তিনদিন ধরে জীবত!"  প্রথমে ভূয়া খবর ভেবে পাত্তা দিলাম না। ইদানীং কাজের চাপ এতটাই যে, ফোনটাও ঠিকমতো ব্যবহার করি না। মালবাহী গাড়ির...

তোমার জন্য বৃষ্টিদিন

গল্প, ফিচার, সাহিত্য
এ. কে. এম. নাজমুল আলম “সব প্রেম কি শেষ পর্যন্ত প্রেমই থাকে?” এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল অরণীর মনে—বৃষ্টির ছাঁটে ভিজে যেতে যেতে, আবারও এক পুরনো রিকশার ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে... বৃষ্টি শুরু হয়েছিল হঠাৎ করেই। রাজধানীর ব্যস্ত বিকেল, অফিসফেরতা মানুষের জটলা, তাড়াহুড়ো। অরণীও ছুটছিল, তবে বাইরের জন্য না, ভেতরের অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে। হঠাৎ করেই সেই পুরোনো কণ্ঠস্বর— "অরণী?" কণ্ঠটা চেনা, এতটাই চেনা যে শরীরের প্রতিটি স্নায়ু জেগে উঠলো। সে ছিল ইশান। পাঁচ বছর আগে যে মানুষটা এক কাপ কফির টেবিলে বলে দিয়েছিল, "তুমি অনেক ভালো, কিন্তু আমাদের পথ আলাদা।" আজ তারা আবার এক ছাউনির নিচে। ইশান ভিজে একাকার, অরণীর ছাতার নিচে ঢুকলো না, শুধু তাকিয়ে থাকলো। চোখে অদ্ভুত অভিমান আর অনুশোচনা—হয়তো মেশানো কিছু অনুভব। "তুমি কেমন আছো?" —অরণী জিজ্ঞেস করলো, কিন্তু গলায় কম্পন ছিল...
শূন্য 

শূন্য 

কবিতা, সাহিত্য
হানিফ সরকার শান্ত, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ  শূন্য দিয়ে জীবন শুরু, শূন্য দিয়ে জীবন শেষ। শূন্য দিয়ে জীবনের ভয়, শূন্য দিয়ে জীবনের ক্ষয়। শূন্য দিয়ে জীবনের জয়, শূন্য দিয়ে জীবনের পরাজয়। শূন্য দিয়ে জীবন সেরা, শূন্য দিয়ে জীবন ঘেরা। শূন্য দিয়ে জীবনের হাসি, শূন্য দিয়ে জীবনের বাঁশি। ‘শূন্য’-এর গল্প দিয়ে, পূর্ণতার গল্পে আসি। শূন্য অলক্ষ্যতার শব্দ, শূন্যকে ভালোবাসি।...
ফাল্গুনী

ফাল্গুনী

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
বিপুল চন্দ্র রায় হলুদ শাড়ি আর রক্তিম আলতা পরে,ফাগুনী বধূ সাজে লাজুক হাসি মুখে।ফাল্গুনীর আজ বিয়ে, সানাই বাজে দূরে,আমার পরাণ কাঁদে বিরহের সুরে। কত স্বপ্ন বুনেছিলাম দু'জনে মিলে,সবই আজ ধুসর, হারিয়ে গেল তিলে তিলে।কল্পনায় ভাবতাম শুভ লগ্ন হবে আমার সনে,আজ সে লগ্ন বাঁধন পরে অচেনা ঘরে। ওগো ফাল্গুনী আমায় ছাড়া তুমি অন্যের ঘরে,সুখী হও চিরিদিনই, এই কামনা করি।আমার বিরহ শুধু আমারই থাক,রবো আমি একাকী এই জনমের তরে।...
ফুলগুলো ফুটতেই ঝরে গেল

ফুলগুলো ফুটতেই ঝরে গেল

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
বিপুল চন্দ্র রায় মাইলস্টোন স্কুলের আঙিনায়দগ্ধ ফুলে গেছে ভরে,আজ বিষাদের ছায়া, স্তব্ধ বাতাস।কলিতে ফুটেনি ফুল,ফোটার আগেই ঝরে গেল শত স্বপ্ন।প্রজাপতি হয়ে ওড়ার ছিল সাধ,আঁকা ছিল ভবিষ্যতের পথ।আজ সে পথ ধূসর, বিবর্ণ ফুল।
অতিক্রান্ত পথে দেখা

অতিক্রান্ত পথে দেখা

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
আহমেদ বিশাল অনেক দূরে ইচ্ছা আমার অনেক কাছে স্বপ্ন ভীষণ  দূরের পথে ঝাপ দিয়েছি কাছের পথে পেরিয়ে সে ক্ষন। পথের মাঝে তোমার আভাস শিউলি হাতে দাঁড়িয়ে তুমি তোমায় দেখে আমার এমন নিজেকে বলে একটু থামি। থামবো বলে তোমার কাছে পিছনে ফিরে আবারও তাকাই তাকিয়ে তোমার চোখের দিকে স্তব্ধ হয়ে নিজেকে হারাই। হারানো মানে তোমার তরে প্রেমের মোড়ে নিজেকে পাওয়া তোমার কাছে মেঘ এনেছি  তাই,মেঘের কাছে তোমাকে চাওয়া। দাঁড়িয়ে তুমি তাকিয়ে ভীষণ  সরল মনে আমার পানে তোমায় দেখে আমার এ মন রাঙিয়ে ওঠে কোনো রঙিন গানে। একক সুরে গান লিখেছি  দেখবে তুমি আমার সে গান? দেখার পরে উঠবে ভরে  আমার জন্য তোমার ঐ প্রাণ? মাতাল হাওয়া তোমার মতোই  আমায় করে ওলট-পালট  অতিক্রান্ত স্বপ্ন পথে ধরবে আমার সাথে সে-জোট?...

তুমি যদি মেঘ হইতা আমি আকাশ হইতাম

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
‎ ‎আমি জানি তোমার সাথে আমার, ‎পথ চলা আর হবে না, ‎আমি জানি তুমি আমার না, তার পরেও, ‎কেনো জানি না তোমাকে পেতে চায়,। ‎এ-ই মন হাজার কোটি বার, ‎তোমার ইস্পাতা পেতে চায় এই মন, ‎হাজার হাজার কোটি বার, ‎ ‎আমি জানি তুমি আমার এ-ই জম্মা, ‎আর হইবা না তার পরে এই মন শুধু তোমারে, ‎এই জম্মা পাইতে চায়, আমি জানি, ‎তুমি আমার এই জম্মা আর কখনোই, ‎হইবা না,, ‎ ‎তুমি জদি পাখি হইতা তাহলে, ‎আমি আমি আকাশ হইতাম, ‎তুমি জদি মেঘ হইতা, ‎তাহলে আমি বাতাস হইতাম, ‎জদি তুমি আলো হইতা তাহলে আমি, ‎অন্ধকার হইতাম, ‎তুমি জদি আমার হইতা তাহলে আমি, ‎তোমার হইয়া সারা জীবন তোমার হইয়া, ‎থাকতাম কিন্তু ও-ই যে, ‎আমার না যে, এখানে তো,,। ‎ ‎আমি অধার রূপে দেখতে ভালোবাসি,। ‎আমি শূন্যেতা কে নিজের করে, ‎রেখেছি আমি সব কিছু বুঝি, ‎তুমি যেই টা চাও ও-ই টা যে,। ...
ছোটগল্প: দৈত্যের শহরে

ছোটগল্প: দৈত্যের শহরে

গল্প, ফিচার, সাহিত্য
সাবিত রিজওয়ান নদের তীরে এসে দেখি—জলের চেয়ে আবর্জনাই বেশি। কোথাও টলটলে জল নেই, আছে শুধু নোংরা গন্ধ আর নষ্ট জীবনের ছাপ। দূরগন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে, মশারা গান গেয়ে গেয়ে মাথা খাচ্ছে! মনে হচ্ছে আমি কোনো যুদ্ধের ময়দানে, ট্যাঙ্কের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। না, এখানে আর এক মুহূর্তও থাকা যাবে না। পালাতে হবে—নইলে দেহে জ্বর উঁকি দেবে। সন্নিহিত কে-জি স্কুলটার সামনে গিয়ে দেখি—কয়েকজন অদ্ভুতদর্শন মানুষ নয়, কী যেন! যেন ভয়ংকর প্রাণী। তারা এক মৃতদেহকে কাবাব বানিয়ে খেতে ব্যস্ত। খাচ্ছে, হাগছে, থু থু দিচ্ছে—সব একসাথে।  তারা একটি তরল পদার্থ পান করছে, যার গন্ধ প্রস্রাবের মতো। তাদের মাথায় যেমন চুলের কাটিং, যেন চুল নয়, সাপের গুচ্ছ। চোখের রঙ প্রকৃত নয়—চোখের মাঝে অর্থাৎ চোখের তাঁরাও বিকৃত। এগুলো কি শিল্প? কারো কারো ভ্রু, পাতায় আঁকা বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি, যেমন— মোটরসাইকেল, সিগারে...
অতিক্রান্ত পথে দেখা

অতিক্রান্ত পথে দেখা

কবিতা, সাহিত্য
আহমেদ বিশাল অনেক দূরে ইচ্ছা আমার অনেক কাছে স্বপ্ন ভীষণ  দূরের পথে ঝাপ দিয়েছি কাছের পথে পেরিয়ে সে ক্ষন। পথের মাঝে তোমার আভাস শিউলি হাতে দাঁড়িয়ে তুমি তোমায় দেখে আমার এমন নিজেকে বলে একটু থামি। থামবো বলে তোমার কাছে পিছনে ফিরে আবারও তাকাই তাকিয়ে তোমার চোখের দিকে স্তব্ধ হয়ে নিজেকে হারাই। হারানো মানে তোমার তরে প্রেমের মোড়ে নিজেকে পাওয়া তোমার কাছে মেঘ এনেছি  তাই,মেঘের কাছে তোমাকে চাওয়া। দাঁড়িয়ে তুমি তাকিয়ে ভীষণ  সরল মনে আমার পানে তোমায় দেখে আমার এ মন রাঙিয়ে ওঠে কোনো রঙিন গানে। একক সুরে গান লিখেছি  দেখবে তুমি আমার সে গান? দেখার পরে উঠবে ভরে  আমার জন্য তোমার ঐ প্রাণ? মাতাল হাওয়া তোমার মতোই  আমায় করে ওলট-পালট  অতিক্রান্ত স্বপ্ন পথে ধরবে আমার সাথে সে-জোট?...
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র স্যানালের কথা

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র স্যানালের কথা

ফিচার, মনের বাঁকে, সাহিত্য
নিভারাণী সান্যাল: দেবেশ চন্দ্র সান্যাল একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নাধীন রতনকান্দি গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যদের “অপারেশন সার্চ লাইট” শুরু হলে বাঙালি সৈন্য, পুলিশ, ইপিআর ও অন্যান্যরা প্রথমে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। ২৬ মার্চ’৭১ মধ্য রাতের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ২৬ মার্চ’৭১ এর পর পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যরা সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করে বসে। তারা নির্বিচারে, হত্যা,গণহত্যা, জ¦ালাও, পোড়াও, ধর্ষণ, নিপিড়ন ও অন্যান্য মানবতা বিরোধী নৃশংসতম কাজ করে। জীবন বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন নরনারী ভারতে আশ্রয় নেয়। বাঙালি আর্মি, ই.পি.আর.ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যগণ মুক্তিফৌজে ও কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও অন্যান্য নর-নারী বাংলাদেশ কে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। বাংলাদেশের প্রশিক্ষণহীণ কৃষ...