
আজ ৭ জুলাই সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘদিন থেকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ বেশিরভাগই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সুপ্রীম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
ইতোমধ্যে আবেদনপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। আমরা একান্তই আশা করবো, নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষ, মেধাবী, দল নিরপেক্ষ এবং সাহসী বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের বিচার বিভাগ এক অনন্য মাত্রায় উন্নিত হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। তথ্যের অবাধ ও স্থায়ী প্রবাহ সকলের কর্মকান্ড ও অতিতকে মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে রাখে। ফলে বিচারক হিসেবে যারা নিয়োগ পাবেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং তাদের যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া, যারা নিয়োগ পেলো আর যারা নিয়োগ পেলো না তাদের যোগ্যতার মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা হবে। আমরা আশা করি, তখন সুপ্রীম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মতো একটা সুন্দর পদ্ধতি বিতর্কিত হবে না। অতএব, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সাথে নিতে হবে। বিতর্ক হতে পারে এমন সকল কিছু এড়িয়ে যেতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, আমরা অতিতের কারণে শংকিত। অতিতে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিয়মানুযায়ী আবেদনপত্র চাওয়া হয় ঠিকই কিন্তু তার আগেই শর্টলিস্ট করে রাখা হয়। আবেদনপত্র চাওয়া, পরীক্ষা-সাক্ষাৎকার নেয়া সবকিছুই হয় লোক দেখানো। এই ধরনের ছলচাতুরি করেই আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশা করে, নতুন সম্ভাবনার এই মাহেন্দ্রক্ষণে হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে এমন কোন ছালচাতুরি হবে না। আমরা নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই বলেই আমরা পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি সতর্ক নজর রাখবো। আমরা নিয়োগ শেষে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদেরকে ধন্যাবাদ দেয়ার সুযোগ করে দিন।