Wednesday, September 17
Shadow

Tag: নড়াইল

নড়াইলে এক রাতেই নির্মিত হয় পুকুরসহ মসজিদ

নড়াইলে এক রাতেই নির্মিত হয় পুকুরসহ মসজিদ

খুলনা, নড়াইল, বাংলাদেশ
কার্ত্তিক দাস, নড়াইল : ৪০০ বছরের পুরানো নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মসজিদ । মুন্সিবাড়ির মসজিদ নামেই এটি সমধিক পরিচিত। জনশ্রুতি আছে মোগল শাসনামলে এক রাতে নির্মাণ করা হয় এই মসজিদ। মসজিদের সামনে রয়েছে একটি পুকুর। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে অজু করার জন্য আছে বাধানো ঘাট। সরেজমিন দেখা গেছে,মসজিদের ছাদের চারপাশে রয়েছে ছোট ছোট চারটি মিনার এবং মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ । ছোট সাইজের ইট আর চুন-সুড়কির গাথুনির মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি। জনশ্রুতি আছে এটি জ্বীনদের দিয়ে নির্মাণ করা হয় মসজিদটি । এখানে ওই সব জ্বীনেরাও এক সময়ে নামাজ আদায় করতো। গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি ইস্রাফিল মোল্লা যার বয়স বর্তমানে ১০৭ বছর। তিনি বলেন,আমি বাপ- দাদার মুখে শুনেছি এক রাতেই এখানে পুকুর এবং মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আগে এই গ্রাম ঘণ বনজঙ্গলে ভরা ছিল। ...

খাল দখলেই জলাবদ্ধ নড়াইল শহর

খুলনা, নড়াইল, বাংলাদেশ
কার্ত্তিক দাস-নড়াইল: সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায় নড়াইল পৌরসভার অলিগলিতে। জলাবদ্ধতা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। এ পরিস্থিতির জন্য শহরের খাল দখল ও ভরাটকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযান শুরু করেছে পৌর প্রশাসন। ৩১ মে দুপুর থেকে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান। নড়াইল পৌর ভূমি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় নড়াইল পৌর এলাকায় ছোট-বড় ১২টি খাল ছিল, যেগুলোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। এর বেশির ভাগই দখল ও ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনা। খাল ভরাট করে পৌরসভার নির্মিত মার্কেটগুলোর মধ্যে রয়েছে—চৌরাস্তার গাজী আলী করিম মার্কেট, মৌসুমি সুপার মার্কেট, শহীদ মিজান সড়ক মার্কেট, পুরোনো বাসটার্মিনালের সাবেক জিয়া প্লাজা, সদর হাসপাতাল মার্কেট, রূপগঞ্জ এলাকার উত্তরা ব্যাংক মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট-১ ও ২, এবং টিঅ্যান্ডটি অফিসসংলগ্ন মার্কেট। ...

জোয়ার-ভাটার সঙ্গে ওদের জীবন গাথা

খুলনা, নড়াইল, বাংলাদেশ
কার্ত্তিক দাস-নড়াইল: নদী পথে নড়াইল থেকে খুলনার দূরত্ব ৫০ মাইল । এই পথেই নড়াইল থেকে খুলনায় পৌছাতে ১৬টি জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয় । একটি ভাটা চলে গেলে পরের ভাটা আসার অপেক্ষায় বসে থাকতে হয় নদীর মধ্যে । নিদারুন কষ্টের মধ্যে ১৬টি দিন নদীতেই কাটাতে হয় । খাওয়া-দাওয়া ছাড়া্ বাহ্যিক কাজগুলোও সেরে নিতে হয় নদীতেই । এমন মানবেতর কথাগুলো বললেন নড়াইল থেকে খুলনায় নদী পথে বাশ বয়ে নেওয়া বাদশা মিয়া । বাদশার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ফেদি গ্রামে । শুধু বাদশা মিয়াই নয় । এমন দূর্বিসহ অভিজ্ঞতা একই ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের টুলু মোল্যা,মহিষখোলা গ্রামের বাবু শেখেরও রয়েছে । তারা বলেন,২০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত । তাদের জীবনটা মনে হয় জোয়ার-ভাটার সঙ্গে গাথা । আমাদের মত প্রায় শতাধিক মানুষ খুলনায় বাশ আনা নেওয়া কাজ জড়িত । জানতে চাইলে বাদশা মিয়া বলেন,প্রতি ...