
পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের আরকেবিকে হরিশ চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল সংলগ্ন ঋষিপাড়া আড়ংঘাটা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের প্রবণতা এতোটাই প্রবল যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে
শত শত বিঘা ফসলি জমি ও মানুষের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত আরকেবিকে হরিশ্চ চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুলের সামনে দিয়ে কপোতাক্ষ নদ প্রবাহিত। এ নদীটির কাটিপাড়া অভিমুখে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধের অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্থানে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধের বিভিন্ন অংশ ২ থেকে হাত পর্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে। ফলে অতি বৃষ্টি বা নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লেই পুরো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে কয়েকশত পরিবার ভিটে ছাড়া হয়েছে। অনেকে অন্যত্র বসবাস করছে। এবার যদি ভাঙন রোধ করা না গেলে আমাদেরও বাপদাদাদের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হবে। মরণ ছাড়া উপায় নেই। এদিকে পরিস্থিতিতে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে শনিবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শন করেন আরকে বি কে কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ও জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলার ইউনিট সদস্য আব্দুল মমিন সানা। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেলে শুধু ফসলি জমিই নয়, হাজার হাজার মানুষের বসতভিটা ও জনপদ পানিতে তলিয়ে যাবে। একারণে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি। এসময় প্রভাষক মোঃ আব্বাস আলী, সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ আলী বাঁচা, সুব্রত কুমার দাশ, অনাথ চন্দ্র দাস, স্বপন কুমার দাস, বিজয় কুমার মন্ডল, মাষ্টার বিকাশ কুমার সরকার, বিধান কুমার শীল, লক্ষীপদ দাস ও মোঃ আরশাদ গাজী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ভাঙন রোধে দ্রুত বাঁধ মেরামত ও টেকসইভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।