Friday, August 15
Shadow

পাইকগাছার ৪ ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানে গেট সংস্কার ও খাল খনন জরুরী

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার ৪ ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম মিনহাজ নদী পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম তত্ত্বাবধানে টিমটি বুধবার সকালে মিনহাজ নদী পরিদর্শন এবং স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে মতবিনিময় করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধানে করণীয় বিষয় নির্ধারণ করেছেন।

খাল খনন ও স্লুইচ গেট সংস্কার সহ নির্ধারিত বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বৃহৎ এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে বলে মনে করছেন পরিদর্শন টিম। উল্লেখ্য, উপজেলার বদ্ধ নদ-নদীর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী মিনহাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। পাইকগাছা ও কয়রার ৪ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি। পাইকগাছার গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী ও কয়রার আমাদী সহ ৪ ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের নিষ্কাশন হয়ে থাকে এ নদী দিয়ে। বর্তমানে বদ্ধ নদীটি ৬ বছর মেয়াদি ইজারা চলমান রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই মিনহাজ নদীর আশেপাশের এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।

চলতি বছর ও তার ব্যতিক্রম নয়। এলাকাবাসীর মতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর জলাবদ্ধতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বীজতলা, সবজি ও আমন ফসল উৎপাদন। ইতোমধ্যে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতা নিরসনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর প্রেক্ষিতে এসিল্যান্ড সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম সরেজমিন মিনহাজ নদী পরিদর্শন এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করে  বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত এবং করণীয় নির্ধারণ করেন। টিমের সদস্যরা প্রথমে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন, এরপর নৌযান যোগে নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন শুধু ইজারাদারের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে না। অনেক গুলো সমস্যা রয়েছে যার মধ্যে নদীর কিছু কিছু অংশ বন্দোবস্ত দেওয়া রয়েছে। সেসব জায়গা বাঁধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় নদীর প্রস্থ এবং প্রবাহ কমে গেছে, স্লুইচ গেটের সামনের দিকে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে এছাড়া পুরাতন স্লুইচ গেটের পানি সরবরাহ ধারণ ক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম এবং বৃহৎ এলাকার পানি সরানোর জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন সেটা এই নদীর নাই।

তিনি বলেন খাল খনন, স্লুইচ গেট সংস্কার, চাঁদখালী ও লস্করের স্লুইচ গেট গুলো সচল করা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে । এসময় টিমের সদস্য উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, লস্করের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সানা, ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আহাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আবু তাহের গাজী, ইউপি সদস্য টিএম হাসানুজ্জামান, সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস আলী ঢালী, জামায়াত নেতা মাও. মোজাফফর হোসেন, আসমাতুল্লাহ শিকারী, মাও. আবুল কালাম আজাদ ও ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল নাঈম বাপ্পি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *