
রোকুনুজ্জামান, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বগুড়া জেলা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনকে উপলক্ষ্যে করে চলছে ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি ভোট গ্রহণ। উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মসূচি। ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, বগুড়া জেলার পক্ষে হোক’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অত্যন্ত সুষ্ঠ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন। যারা বগুড়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ থেকে ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাদের নিয়ে ১৪১ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি ভোটার তালিকা করা হয়। যদিও নির্বাচন কমিশনের দ্বায়িত্বরত জানান এই তালিকা স্বল্প সময়ে করায় এর বাইরেও কেউ কার্ড এবং জেলার সদস্য হিসেবে প্রমাণ দিতে সক্ষম হলে তার ভোটও আমারা গ্রহণ করেছি।
প্রধাণ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দ্বায়িত্বরত জুবায়ের হোসেন সামি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি অনেকেই সভাপতি ও সেক্রেটারি পদ নিতে আগ্রহী। কিন্তু পদ তো মাত্র দুইটাই তাই সবাইকে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই কোনো মনোমালিন্য ছাড়াই আমরা যেন ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করতে পারি এজন্য আমরা চিন্তা করি যে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আমরা দ্বায়িত্বশীলদের নির্বাচিত করার। আমরা চাই না অন্যান্য অনেক জেলার মতো আমাদের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পক্ষে বিপক্ষে একাধিক কমিটি হউক। আশা করি এই গনতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সুযোগ থাকবে না এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।”
ভোটারদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য একটা কমিটি দিতে এরকম গণতান্ত্রিক উপায়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই জীবনের প্রথম ভোট দান কর্মসূচি হিসেবে জবিতে আমার জেলা কল্যাণ পরিষদের এরকম একটি নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। ভোট গ্রহণ না করে স্বজনপ্রীতি থেকে সিলেকশনের মাধ্যমে দেওয়া কমিটি গুলো বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সেরকম কল্যাণমূলক কাজ এক্টিভলি করতে পারে না। তাই এভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য এরকম ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করলে আমাদের জেলার শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে আমি আশা রাখি। আশা করি সিনিয়র জুনিয়র সবাই মিলে একে অন্যের বিপদে-আপদে পাশে দাড়িয়ে বগুড়া জেলার সকল শিক্ষার্থী ভাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।”