Tuesday, July 15
Shadow

চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী……

গণতন্ত্র বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় না

ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম : যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়, দেশে অস্থিরতা তৈরি করে তাদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় না। তাদের ভূমিকা রাজনৈতিক দল নয়, বরং প্রেসার গ্রুপের মতো। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, অস্থিতিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে একটা অশান্তি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে, তাদের তো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত করা কঠিন! আপনি রাজনৈতিক দল হলে নির্বাচনে যেতে চাইবেন না, নির্বাচন করতে দিবেন না, নির্বাচন যেতে দিবেন না, তাহলে আপনি প্রেসার গ্রুপের কাজ করেন। প্রেসার গ্রুপেরও একটা দায়িত্ব আছে তো। আপনি প্রেসার গ্রুপের কাজ করেন, আর যারা রাজনীতি করতে চায় তারা রাজনীতি করুক। আর এ প্রক্রিয়া তো শেখ হাসিনারই কথা হয়ে যায়।এখন এরা তো বলছে ইলেকশনরই দরকার নেই। 

তিনি রবিবার (১৩ জুলাই) বিকালে নগরীর মুরাদপুর শিক্ষা বোর্ড সংলগ্ন এলজিইডি ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবদুস সাত্তার, বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা তো অন্তত ডামি টামি করে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। আর এরা বলতেছে ইলেকশনে যাওয়ারই দরকার নেই। মানে ইলেকশনের প্রক্রিয়াও হতে পারবে না। তাহলে এরা কি কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য হতে পারে? এরা কি গণতন্ত্রের বিপক্ষের শক্তি নয়? এরা কি জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বিপক্ষের শক্তি নয়? তাহলে আমাদের কি করতে হবে? সহনশীলতার মাধ্যমে, পরষ্পরের প্রতি সম্মানবোধ রেখে বিএনপির রাজনীতিকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এটাই হবে বিএনপির রাজনীতি।

বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে আমীর খসরু বলেন, যেই নতুন স্বপ্ন দেশের মানুষ দেখছে সেই স্বপ্ন বিএনপিকে দেখাতে হবে। যেটা তারেক রহমান দেখাচ্ছে। উনার কথাগুলো খেয়াল করবেন। তারেক রহমান কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন না। তিনি বিএনপির কথাগুলো বলছে, উনার কথাগুলো বলছে। যাদের বক্তব্যের মধ্যে অশ্লীলতা আছে, সম্মানবোধ নেই, সহনশীলতা নেই, তার বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে, সহনশীলতা, সম্মান, শান্তিপূর্ণ অবস্থান, দেশ গড়ার এবং মানুষের নতুন স্বপ্ন গড়ার প্রত্যয়ের রাজনীতি। যারা দেশের রাজনীতিকে আবার কলুষিত করতে চাচ্ছে, তাদের দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ১০ জনে বসে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে না। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার করছে, কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার না হলে তার কোনো সুফল মিলবে না। কোনো কমিশন মানুষের মনের কথা বুঝবে না। সুতরাং দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষের মনোজগতে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। সেটা ধারণ করতে না পারলে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না। আমরাও যদি ধারণ করতে না পারি তাহলে সামনে পথ চলা কঠিন হবে। অনেকেই জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত করেছে। এটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। এখন আমাদের সহনশীল রাজনীতি করতে হবে। কারও বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করলেও সম্মান দেখাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার জন্য আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, এর মূল কারণ ছিল, আমরা যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। তাই সে দল, তারেক রহমান, আমার বিরুদ্ধে বা যার বিরুদ্ধেই বলুক আমার মত হচ্ছে, তার সেই স্বাধীনতা আছে বিরুদ্ধে বলার। বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে সে রকম। আমাদের নতুন আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে দেশের নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রবর্তন করতে হবে। দেশের রাজনীতিতে যদি রাজনৈতিক চরিত্র সংস্কৃতি না বদলায় তাহলে কোনো সংস্কারে কাজ হবে না। সুতরাং বিএনপি সেই রাস্তা করছে। তারেক রহমান সেই রাস্তায় করছে, আমাদের সকলকেই সেই রাস্তায় করতে হবে।

রাজনৈতিক সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আমির খসরু আবারও বলেন, রাজনীতিতে মাথা গরম করলে হেরে যাবেন। মাথা গরম করা যাবে না। তারা যেই কাজগুলো করছে, দেশের মানুষ জবাব দিবে। আমাদের কাজ হচ্ছে, যারা জন্য আমরা লড়েছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি, গুম, খুন হয়েছি, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ, চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যুবরণ, লাখ লাখ মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার; কি জন্য? একটা গণতান্ত্রিক দেশ দেখতে চাই বলে। একটা স্বাধীণ সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ দেখতে চাই বলে। যেই দেশে আমার ভোটাধিকার হবে, প্রতিনিধি নির্বাচন করবো, আমার প্রতিনিধি আমার কাছে জবাবদিহি থাকবে, সেই দেশ গড়ার জন্য আমরা ত্যাগ স্বীকার করেছি। 

আবদুল্লাহ আল নোমানের রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করে আমীর খসরু বলেন, নোমান ভাই ছিলেন মাঠের রাজনীতিবিদ। পর্যায়ক্রমে ওঠে আসা নেতা, নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে, সুসময়ে-দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে দেশ-জাতির খেদমত করা, দলকে সম্মুন্নত রাখা, আন্দোলনে সংগ্রামে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নেতৃত্ব দেওয়া, দেশের উন্নয়নে কাজ করা; যেটা একজন রাজনীতিবিদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আব্দুল্লাহ আল নোমানের সেই গুণাবলী ছিল। বাংলাদেশে এখন নোমান ভাইয়ের মতো নেতা খুবই কম। 

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চট্টগ্রাম মহানগরে নির্বাচন থেকে শুরু করে রাজনীতিতে নোমান ভাইয়ের সাথে গভীরভাবে একসাথে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আমরা যারা এমপি হয়েছি, একসাথে রাজনীতি করেছি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ পরবর্তী যেই আন্দোলন সেটা কিন্তু কঠিন আন্দোলন ছির। এরশাদের সময়ে আন্দোলনটা এক ধরনের ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেই আন্দোলনে গতবার যেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে আর ততবার টিয়ার গ্যাস এবং পুলিশের নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের সকলকে মিলে। এর পরবর্তী শেখ হাসিনার স্বৈরাচার হয়ে উঠা, ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠা; তার বিপক্ষে প্রতিপক্ষ হয়ে রাজনীতি করা আরও কঠিন ছিল। সেখানেও নোমান ভাইসহ আমরা একসাথে মাঠে থেকে দুঃসাহসের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসলে দুঃসাহসের সঙ্গে রাজনীতি করতে হয়। এই দুঃসাহস নোমান ভাইসহ আমরা সবাই মিলে দেখিয়ে দিয়েছি। সেটা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকে গত আগস্টে পতন হয়েছে। 

তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের লন্ডন বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যেই বৈঠক হয়েছে; সেখানে এই নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচিত সংসদ গঠন করে মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে সেটাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।

আমীর খসরু বলেন, কোনো কমিশন দেশের মানুষের মনের ভাষা বুঝবে না, মানুষের মনের ভাষা, প্রত্যাশা ধারণ করবে রাজনীতিবিদরা। এই পরিবর্তন আসতে হবে একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যাতে শহরে দশজন বিজ্ঞ ব্যক্তি চেয়ার-টেবিলে বসে দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না। তাদেরকে সেই দায়িত্ব কেউ দেয়নি। এই পরিবর্তন আসতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, নির্বাচনের মাধ্যমে, নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই পরিবর্তন হবে টেকসই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে তিনি কমিটি করে দিতেন। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি দল তারেক রহমানকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে জানে তারাই এই নির্বাচন চায় না। তবে ওদের উসকানিতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তিনি ছিলেন এক অবিচল যোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং আজীবন জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকা অবিস্মরণীয়। চট্টগ্রামের উন্নয়নে আবদুল্লাহ আল নোমানের অবদান চিরস্মরণীয়। চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, ইষ্ট ডেল্টা ইউনির্ভাসিটি, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ গণ আন্দোলনে শহীদের স্মৃতি রক্ষায় প্রতিষ্ঠা করেন এন এম জে মহাবিদ্যালয়। জনগণের কল্যাণে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ আজও চট্টগ্রামের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা, আমাদের সবার অভিভাবক। চট্টগ্রামে ৮০ র দশকে যখন শহীদ জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পরে বিএনপি অনেকটা দূর্বল হয়ে গিয়েছিল। তখন বিএনপিকে পুনর্জাগরণ করেছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পরে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন এক আপসহীন নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাঁর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। নোমান ভাই শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা। তাঁর সাহস, সততা এবং দেশপ্রেম আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। আবদুল্লাহ আল নোমান তাঁর সারা জীবন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন এবং কোনো প্রলোভন তাঁকে তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

নাজিমুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নোমান ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা।বিএনপির রাজনীতিতে তিনি চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন।

এতে উপস্তিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, শওকত আলম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম. এম হান্নান, এস. এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, মো. সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. জাফর আহম্মদ, গাজী আইয়ুব, এম এ সবুর, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু ইউছুপ, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওলামাদলের আহবায়ক মাওলানা শহীদ উল্লাহ চিশতী প্রমূখ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *