
রিয়াদ আহাম্মেদ, শেরপুর : অবৈধভাবে অধ্যক্ষ দাবি করে তালা কেটে অধ্যক্ষের ভবনে প্রবেশ করে ভাংচুর ও চুরির অভিযোগে শেরপুরের নকলা চন্দ্রকোনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গণিত) মো. কামাল আজাদকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ৭জুলাই সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ সিআর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ, শেরপুরের নকলার চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গণিত) মো. কামাল আজাদ নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জোর পূর্বক অবৈধভাবে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। এসময় তারা আইপিএস এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অধ্যক্ষের কক্ষের ড্রয়ারে থাকা টাকা, একটি ল্যাপটপ ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে।
এরপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আরিফুল আলম রবিন বাদি হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত কামাল আজাদ ৫ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন এবং পরবর্তীতে ৭ মে জেলা জজ আদালতে থেকে পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত আবার জামিন গ্রহণ করেন। পরে ১৯মে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিলের পরবর্তীতে আদালতে অনুপস্থিত থেকে সময় আবেদন করলে আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে ৭জুলাই বিজ্ঞ সিআর আমলি আদালত নকলায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী খন্দকার আরিফুল আলম রবিন বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিচার চলমান অবস্থায় আমি নতুন করে কিছু বলতে চাইনা। তবে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাজে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা আমাদের কাছে কি শিখছে এটা আমাদের বুঝা দরকার। আমি শুধু আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই। এদিকে আসামি জেলহাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।