
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও থামেনি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা। ওইদিন ইসরাইলের চালানো হামলায় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য। এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে।
পরিবারটি গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায় বসবাস করত। রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে বলেন, বিমান হামলার আগে ইসরাইলি বাহিনী কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি। তিনি আরও জানান, শনিবারের ওই হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ৮৫ জন আটকা পড়েছেন, যাদের এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মাহমুদ বাসেল বলেন, “এটা ছিল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত গণহত্যা। যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছেন।”
এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাতে চালানো অভিযানের লক্ষ্য ছিল আসাদ আবু শারিয়া নামের একজন হামাস নেতা। তিনি হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের চালানো অতর্কিত হামলায় অংশ নিয়েছিলেন।
গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে গত ১৭ মাসে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা