Wednesday, May 21
Shadow

নৌ-বাহিনীর চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩৮ প্রার্থী উদ্ধার


এম এন আলী শিপলু, খুলনা : প্রতি বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নাবিক পদে নিয়োগের আগে মাঠে একটি প্রতারক চক্র কাজ করে। তাদের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে প্রতারিত হয় গ্রামের সহজ সরল মানুষ। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বশান্ত হয় তারা। এ বছর এমন ঘটনা ঘটার আগেই পুলিশ এবং নৌবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার হোটেল সুইফট থেকে ৯ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ৩৮ জন চাকরি প্রত্যাশী উদ্ধার করা হয়। ভোর রাতে তাদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী। পরে প্রতারিত হতে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের জিম্মায় পুলিশ ছেড়ে দেয়।

গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক হলেন, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিসাতপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, একই উপজেলার মহিষকুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ, চক গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলীর ছেলে মো. আলহাজ আলী, চুয়া মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা নয়ন আলী, ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি উপজেলার ঘোষবাড়ির বাসিন্দা রেজাউল মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ডল, মেহেরপুর জেলার গংনী উপজেলার হাড়ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের ছেলে মোসতাকিম, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াজ মোল্লা, রাজশাহীর বাগমার উপজেরঅর কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, এবং কুষ্টিয়া উপজেলার পদমাদিয়া এলাকার বাসিন্দা আ: বারীর ছেলে শামীম ইসলাম।

সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আব্দুল হাই বলেন, মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী তিতুমীর খুলনার খালিশপুরে নিয়োগ পরীক্ষার মাঠ আছে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক চক্র খুলনাসহ অন্যান্য বিভাগ এবং জেলা থেকে চাকরী প্রত্যাশীদের প্রলোভন দেখাতে থাকে। এ সকল প্রতারক তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়ে থাকে। সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে তাদের কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা দাবিও করেছিল। তার পদক্ষেপ হিসেবে চকরি প্রত্যাশীদের নিকট থেকে প্রতারকরা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, নৌ-বাহিনী খুলনার তিতুমীরে পরীক্ষা আছে বলে ৩ দিন আগে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার আবাসিক হোটেল সুইফটের ৩টি কক্ষ ভাড়া করে। আমরা অনেক আগে বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমাদের আগে নৌ-বাহিনী প্রতারিত হওয়ার আগে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৯ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার এবং ৩৮ জন চাকরি প্রত্যাশিকে উদ্ধার করে। এ সময় প্রতারকদের কাছ থেকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ৫ টি মোবাইল ফোন ১০০ টাকা মূল্যের ৩৬ সেট স্ট্যাম্প এবং কয়েকটি ব্লাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়। নৌ-বাহিনীতে চাকুরী দিয়ে ৯-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার টার্গেট তাদের ছিল।

তিনি বলেন, ভোররাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৯ জন প্রতারককে থানায় হস্তান্তর করেন এবং তাদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেন, বানৌজা পিও(আর) মো. আরিফুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *