Saturday, April 26
Shadow

আদমদীঘিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথার চুল কাটার অভিযোগে শাশুড়ি গ্রেপ্তার

মো: সজীব হাসান, আদমদীঘি (বগুড়া) : বগুড়ার আদমদীঘিতে পারিবারিক কলহে আয়শা সিদ্দিকা (২০) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তাকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে শারীরিক নির্যাতন ও কেঁচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দিয়েছে।

এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বেজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে গৃহবধূর বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় মামলাটি দায়ের করলে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি তানজিলা বেগমকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আহত ওই গৃহবধূকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার নিখিরা গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে আয়শা সিদ্দিকার সঙ্গে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বেজার গ্রামের লিটনের ছেলে আরমান হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে যমজ দুটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে।

সংসারে সচ্ছলতা আনতে স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে যান স্বামী আরমান হোসেন। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা কলহে ওই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি তার বাবা ইদ্রিস আলীকে জানালে আয়শা সিদ্দিকার শ্বশুর লিটন হোসেন, শাশুড়ি তানজিলা বেগম ও ননদ সাদিয়া বিবি ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার সকালে ওই গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরে রক্তাক্ত-জখম করে।

এরপর গৃহবধূর মাথার চুল কেঁচি দিয়ে অর্ধেক অংশ কেটে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে নির্যাতনের শিকার আহত ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে শ্বশুর লিটন হোসেন, শাশুড়ি তানজিলা বেগম ও ননদ সাদিয়া বিবিকে আসামি করে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই শাশুড়ি তানজিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত শাশুড়ি তানজিলা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *