
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
১। উনি ইন্টারমিডিয়েট পাশ, গ্র্যাজুয়েট নন। উইকিপিডিয়াতে গিয়ে দেখুন—ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার খবর আছে, ডিগ্রির খবর নেই।
২। গত ১৭ বছর উনি লন্ডনের মতো শহরে থেকেও হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় একটা কথাও বলেননি। অবিশ্বাস্য, তাই না? কোনো ইমেজও তৈরি করতে পারেননি। ওনার পাশেই অক্সফোর্ড বা ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা আছেন, কিন্তু কেউ তাঁকে চেনে না। ঐসব জায়গায় কোনোদিন গেছেন বলেও শোনা যায়নি।
৩। গত ১৭ বছর উনি লন্ডন শহরে কীভাবে আয়-রোজগার করে চলেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। উনি কি চাকরি করেন? উনি কি ব্যবসা করেন? নাকি শরণার্থী ভাতায় চলেন? আমরা জানি না, উনি জানানওনি। সম্ভবত বলার মুখ নেই। বাকিটা আপনারা কল্পনা করুন।
৪। উনি জীবনে কোনোদিন কোনো চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা প্রফেশনাল কোনো কাজ করেননি। কোনো রেকর্ড নেই। বসে বসে খেয়েছেন এবং খাচ্ছেন।
৫। ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ে উনি ছিলেন ২৫ বছরের টগবগে যুবক। তাঁর মা (বেগম খালেদা জিয়া) জীবন বাজি রেখে রাস্তায় লড়ছিলেন, আর তিনি ঘর থেকে এক পা-ও বাইরে বের হননি। এক পাও না। উনি পর্দা করছিলেন।
৬। উনি রাজনীতিতে মাথা ঘামানো শুরু করেন ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর—ক্ষমতায় বসে, মায়ের উসিলায়। তারপর বিএনপির কী হাল হয়েছিল, সেটা আমরা দেখেছি।
এই ধরনের মানুষ, যাঁদের একমাত্র পুঁজি বাবা-মায়ের পরিচয় এবং যাঁদের নিজের জীবনে বিন্দুমাত্র কোনো অর্জন নেই—জুলাই বিপ্লবের পর আজকের বাংলাদেশে তাঁদের নেতৃত্বের জায়গা নেই। ইন ফ্যাক্ট, আমরা ইতিমধ্যেই তার ফল দেখতে শুরু করেছি (ডাকসু, জাকসু নির্বাচন)।
আরও দেখবো। আর হ্যাঁ—আমি যেমন, আমার চারপাশে সেই রকম মানের মানুষই জড়ো হবে। লিও মেসির চারপাশে যেমন তাঁর মানের প্লেয়াররা থাকেন, তেমনি তারেক রহমানের আশেপাশে জড়ো হবেন নয়নরা, ছাত্রনেতা গণেশ, মির্জা আব্বাস, শামসুজ্জামান দুদু টাইপ মানুষ।
