
Mohammad Saiful এর ফেসবুক থেকে।
যারা ভাবছেন পলাতক হাসিনার মৃত্যুদন্ডের রায় গুরুত্বপূর্ণ না,কারণ সে (ভারতের) কোলে বসে আছে।
দেশে নাই, উপস্থিত নাই, ফাঁসি দিতে পারবে না।
আপনাদের ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল!
এই রায়ের বিশেষ কিছু তাৎপর্য আছে।
প্রথমত , ভারতে বসে একমুহূর্তে হাসিনা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করতে পারবে না!
মানে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের বিপক্ষে আপিল করতে হলে আসামীকে নির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
সময়সীমা ৩০ দিন এরপর আপিল করার সুযোগ শেষ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত ধরেন, শেখ হাসিনাকে দেশে আনা সম্ভব হলে কিংবা সে নিজ ইচ্ছায় দেশে আসলেই রাতারাতি ফাঁসি কার্যকর করতে আইনি কোনো বাঁধা থাকবে না।
যেমন: ২০২০ সালে শেখ মুজিব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কলকাতা ফেরত ক্যাপ্টেন মাজেদকে যেভাবে রাতারাতি ফাঁসি কার্যকর করেছিলো ঠিক তেমনটাই হবে হাসিনার ক্ষেত্রেও!
সবচেয়ে বড় কথা হইলো শেখ হাসিনা এখন আন্তর্জাতিক ভাবে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী।
হাসিনা ইচ্ছে করলেই ভারত কিংবা অন্য কোন দেশে ওপেনলি মুভমেন্ট করতে পারবে না।
তারমানে যতোদিন বেঁচে যাবে বন্দী জীবনই পার করতে হবে।
এদিকে অলরেডি আদালতের রায় ভারত সহজেই মেনে নিছে। তারা বলেও দিছে ,বাংলাদেশের মানুষের পাশে ভারত সবসময় থাকবে।
হয়তো হাসিনারে গোপন করে রাখবে নয়তো ফেরত কিংবা অন্য দেশে গোপনে পাঠিয়ে দিবে।
এখন বাকি আছে জাতিসংঘ আর ইন্টারপোলের বিবৃতি। বাইচান্স যদি ইন্টারপোল গ্রেফতারি পরোয়ানার রেড এলার্ট জারি করে।
তাহলে হাসিনারে পৃথিবীর কোন দেশে আশ্রয় দিবে না।
শেষ পর্যন্ত জ্বলেপুড়ে কষ্ট নিয়ে মরতে হবে ভারতেই।
অথচ মানুষ সবকিছু করে জীবনের শেষ সময়ে সামান্য সুখে থাকার জন্য।
সেই সুখটাও হাসিনার কপালে লেখে নাই।
মাত্র ICT প্রেস রিলিজ দিলো, দন্ডপ্রাপ্ত আসামির কোন বক্তব্য, কথা, লেখা প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
তার মানে হাসিনার কোন কথা বাংলাদেশের পত্রিকাতে ছাপানো হবেনা ভিডিও কোন মিডিয়া প্রচার করবে না।
আস্তে আস্তে দেখবেন, দেশে বিদেশে কতো নিষেধাজ্ঞা দিবে। যেটা ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা থেকেও জঘন্যতম কষ্টদায়ক।
সবচেয়ে বড় কথা হইলো মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী দিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অসম্ভব।
তাই সামনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অংশগ্রহণ না থাকলেও বিদেশী কোন চাপ থাকবে না।
লীগ অংশগ্রহণ না করলেও কোন আসবে যাবে না কারণ লীগ ছাড়া বিশ্বে নির্বাচনও শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা পাবে
সবচেয়ে বড় কথা হইলো ,এই রায়ের মধ্য দিয়ে অফিসিয়ালি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামিলীগের পায়ের তলার মাটি সরে গেলো!!!
