
অস্কারজয়ী ‘আরআরআরের’ পর নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন এস এস রাজামৌলি। গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটির প্রথম ঝলক প্রকাশ করা হয়েছে। ‘বারাণসী’ নামের সিনেমাটির প্রধান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন মহেশ বাবু, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। প্রথম ঝলক প্রকাশের পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গতকাল হায়দরাবাদে জমকালো এক অনুষ্ঠানে ছবির নাম ও প্রথম ঝলক উন্মোচন করেন রাজামৌলি।
রামোজি ফিল্ম সিটিতে ৫০ হাজার ভক্তের গর্জন
রামোজি ফিল্ম সিটির রাতের আকাশ কাঁপিয়ে ওঠে মহেশ-ভক্তদের গলায় গর্জন—‘জয় বাবু, জয় জয় বাবু!’ এই স্লোগানের মধ্যেই শুরু হয় নাম উন্মোচনের আয়োজন। মঞ্চে ‘বারাণসী’র জনপ্রিয় গান ‘সঞ্চারী’ পরিবেশন করেন শ্রুতি হাসান। গানটির সুরকার অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এম এম কিরাবাণী। তিনি ছবির প্রধান খলনায়ক ‘কুম্ভের’ চরিত্রটিরও সংগীত-পরিচিতি তুলে ধরেন; চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস আছেন ‘মন্দাকিনী’ চরিত্রে, আর মহেশ বাবু ‘রুদ্র’।
হাজার বছরের বিস্তৃত গল্প
এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শিত প্রথম ফুটেজ কিছুটা প্রযুক্তিগত বিলম্বের পর শুরু হয়। ছবির গল্প বিস্তৃত হাজার বছরজুড়ে—প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত। রাজামৌলি জানান, ছবির একটি উল্লেখযোগ্য দৃশ্য তিনি তৈরি করেছেন মহাকাব্য ‘রামায়ণের’ একটি অধ্যায় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
পরিচালকের ভাষায়, ‘ছোটবেলা থেকেই “মহাভারত” স্তরের একটি স্বপ্নের ছবি বানানোর চিন্তা ছিল। এই ছবিও শুরু করেছি সেই ভাবনা থেকে। “রামায়ণ” থেকে একটি বড় স্তম্ভ রাখতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও জানান, ‘৬০ দিন শুট করেছি। গবেষণা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। প্রতিটি দিন ছিল নতুন চ্যালেঞ্জ। সব পার হয়ে বলতে পারি, এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় সিনেমার একটি হবে। আর মহেশের ক্যারিয়ারেও সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। আপনারা যেমন ভাবছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর।’
ছবির বেশ কিছু অংশ শুট হয়েছে আইম্যাক্স ফরম্যাটে, যার কয়েকটি ঝলক দেখানো হয় ১০০ ফুট এলইডি স্ক্রিনে।
পৃথ্বীরাজ সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘এটা ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প। রাজামৌলি আবারও ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বমঞ্চে তুলতে চলেছেন—এবার আরও বড়, আরও সাহসীভাবে।’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, ‘রাজামৌলি স্যারই সত্যিকারের সেই দূরদর্শী নির্মাতা, যিনি ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বে এমনভাবে পৌঁছে দিয়েছেন, যা আর কেউ পারেননি। আমাকে মন্দাকিনী হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মহেশ বাবু বলেন, ‘আমি সবাইকে গর্বিত করব। সবচেয়ে বেশি গর্বিত করব আমার পরিচালককে। পুরো ভারত আমাদের নিয়ে গর্ব করবে।’
ছবিটি প্রযোজনা করছে শ্রীদুর্গা আর্টস ও শোয়িং বিজনেস। ২০২৭ সালে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে।
