
নীল শাড়ি, হাতাকাটা ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট টিপ—এই সাজে গত এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছেন মারাঠি অভিনেত্রী গিরিজা ওক (Girija Oak)। নেটিজেনদের কেউ তাঁকে ভারতের নতুন ‘ক্রাশ’ বলছেন, কেউ আবার তুলনা টানছেন হলিউড তারকা সিডনি সুইনি কিংবা মনিকা বেলুচ্চির সঙ্গে।
দুই দশকেরও বেশি সময়ের অভিনয়জীবন গিরিজার Girija Oak। অভিনয় করেছেন আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’, ‘জওয়ান’, ‘ইন্সপেক্টর জেনডে’–এর মতো ছবিতে। তবু এতটা আলোচনায় তিনি আগে কখনো আসেননি। মারাঠি দর্শকদের কাছে পরিচিত মুখ হলেও, রাজ্যসীমার বাইরে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল সীমিত। এবার সেই গণ্ডি পেরিয়ে পুরো ভারত তাঁকে চিনে ফেলেছে।
প্রশ্ন উঠছে—হঠাৎ গিরিজাকে নিয়ে এমন উন্মাদনা কেন? এক্স (সাবেক টুইটার), ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম—সব প্ল্যাটফর্মে তাঁকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। আসলে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য লালানটপ-এ একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পরই শুরু হয় তাঁর নিয়ে মাতামাতি।
সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের পর প্রশ্নে গিরিজার সংযত, বুদ্ধিদীপ্ত জবাব মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। তাঁর কথা বলার ভঙ্গি, হাসি, চাহনি—সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্ম যেন মুগ্ধ হয়ে গেছে। আর নীল শাড়ি, কপালের টিপ ও অনাড়ম্বর সাজপোশাকও নজর কেড়েছে সকলের। সাক্ষাৎকারের ছবিটিই পরে ভাইরাল হয়।
এমন হঠাৎ জনপ্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিরিজা Girija Oak বলেন,
“সবকিছু বেশ মজার লাগছে। রোববার সন্ধ্যা থেকেই আমার ফোন থামছেই না। আমি তখন এক নাটকের মহড়ায় ব্যস্ত, তাই ফোন ধরতে পারিনি। হঠাৎ দেখি বন্ধুরা লিখছে—‘তুমি জানো, এক্সে তোমাকে নিয়ে কী চলছে?’”
তিনি জানান, তাঁর ছবিগুলো কিছু চটকদার পেজেও পোস্ট করা হয়েছে, এমনকি কোথাও কোথাও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে ভাইরাল হওয়ার এই প্রবণতায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে নারাজ তিনি।
গিরিজা বলেন,
“এটা কেবল একটা ট্রেন্ড—আসবে, আবার মিলিয়েও যাবে। কিন্তু আমার কাজ থেকে যাবে। এখন যদি মানুষ আমার কাজের দিকে মনোযোগ দেয়, সেটাই আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের।”
মাত্র ১৫ বছর বয়সে মারাঠি সিনেমায় অভিষেক ঘটে গিরিজার। পরবর্তীতে তাঁকে দেখা গেছে একাধিক মারাঠি টিভি ধারাবাহিকেও। মুম্বাইয়ের ঠাকুর কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স থেকে বায়োটেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৭ বছর, তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা।
