Wednesday, October 1
Shadow

সীমিত জনবল ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মানোন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ডা. রোকসানা হ্যাপি

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও জনগণের আস্থা ফেরাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রোকসানা হ্যাপি। সীমিত জনবল ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছেন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের চিত্র বদলে যায়। আগে যেখানে দৈনিক আউটডোর রোগী ছিল ৫০-৬০ জন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০-৫০০ জনে। ইনডোরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০-১২ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০-৭০ জনে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন জরুরি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডা. হ্যাপি বলেন, “২৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৫ জন দিয়ে সেবা চালাচ্ছি। ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।”
প্রায় ৬ বছর বন্ধ থাকার পর তার উদ্যোগে হাসপাতালে পুনরায় সিজারিয়ান অপারেশন চালু হয়। এছাড়া তার নেতৃত্বে চালু হয়েছে জরায়ুমুখে ক্যান্সার শনাক্তকরণের ভায়া টেস্ট (২০২২ সাল থেকে), ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেবা এবং মাসে ৪০-৫০টি নরমাল ডেলিভারি।
তিনি জানান, “আমি যোগদানের সময় সারাদেশে আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান ছিল ৩৪০তম। বর্তমানে তা উন্নীত হয়ে ৭৫তম স্থানে এসেছে। এটি আমাদের টিমওয়ার্কেরই ফল।”
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও মানববন্ধন প্রসঙ্গে ডা. হ্যাপি বলেন, “আজকের মানববন্ধন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি একটি মহলের ষড়যন্ত্র। চলমান টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কেউ রেসপন্সিভ না থাকায় সেটি বাতিল হয়েছে। পুনরায় আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও জনবল আছে মাত্র ৩১ শয্যার সমান। মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ১৪ জন, আছেন মাত্র ৫ জন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা ১১ জন, আছেন মাত্র ২ জন। ডেন্টাল সার্জন রয়েছেন একজন। আয়া থাকার কথা ২ জন,একজনও নেই, এমএলএস থাকার কথা ৪ জন,একজনও নেই। নাইটগার্ড থাকার কথা ২ জন, আছেন মাত্র ১ জন। অপরদিকে জুনিয়র ম্যাকানিক থাকার কথা ১ জন। অথচ,সে পদটিও শূন্য ।
ডা. হ্যাপি বলেন, “আমরা চাই আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ সেবাকেন্দ্রে রূপান্তর করতে। যাতে সাধারণ মানুষ নূন্যতম ভোগান্তি ছাড়াই সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পায়।”
মাহবুবুজ্জামান সেতু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *