Wednesday, October 1
Shadow

সাংবাদিক দেখে ক্ষেপে গেলেন ডিলারের বাবা

 মাইনুল ইসলাম রাজু , আমতলী বরগুনা প্রতিনিধি :  বরগুনার আমতলীতে চাল বিক্রির বিতাড়নের সময় সাংবাদিক দেখে ক্ষেপে গেলেন পরিচালক। 

চাউল ঠিক নাই! হইবে কি এহন, আপনি গিয়ে টিইউনওর কাছে জবাব দিহিতা করেন। আমতলী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গুলিশাখালি ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ( OMS) চাল বিক্রির বিতরণে ওজনে কারচুপি করার অভিযোগে সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে সাংবাদিক দেখেই ক্ষেপে যান বর্তমান ডিলার মোঃ ইলিয়াস মিয়ার বাবা ও সাবেক ডিলার গোলাম মস্তোফা শরিফ।

বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য মোঃ ইলিয়াস মিয়াকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু পরিচালনা করেন মোঃ গোলাম মস্তোফা শরিফ। এর আগেও ইলিয়াস মিয়ার বাবা গোলাম মস্তোফা শরিফের বড় ভাই সাবেক আ.লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলামের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার নিয়োগ পান। নতুন ডিলার নিজের নামে না পেয়ে তার ছেলের নামে ডিলারশিপ এনে নিজেই পরিচালনা করেন। প্রতি ৩০ কেজিতে ১ কেজি থেকে দেড় কিংবা ২ কেজি বা তার বেশিও কম দেয়ার অভিযোগ তুলে সুবিধাভোগীরা। 

নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে চাল দিয়ে আসছে। যেমন দেয় তেমনি নিয়ে যাই। কিছু বললেও কিছু হয় না। হ্যাগো ক্ষমতা অনেক। তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। 

আজ সকাল ১১:৩৬ এর সময়ে এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে জনৈক এক কার্ডধারী ব্যক্তি সরকারি ৪ বস্তা চাল বিক্রি করার কথা বলে ডিলারের কাছে নিয়ে যায়। নগদ ২৫ শত টাকায় এক বস্তা বাকি তিন বস্তা পরবর্তীতে দেয়ার কথা বলে। পাশে থাকা লোকজন সাংবাদিককে চিনে ফেলায় জনৈক ব্যাক্তি চাল দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। এরপরেই বাধে বিপত্তি, চাল বিক্রির বিতরণে অনিয়ম অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে কয়েকটি বস্তা মাপ দিতে বললে সাংবাদিকের সাথে সাবেক ডিলার ও বর্তমান ডিলারের বাবা মস্তোফা শরিফ ক্ষেপে গিয়ে অশালীন আচরণ, চাউল ঠিক না থাকলে কি হইবে! আপনি গিয়ে টিইউনওর কাছে জবাব দিহিতা করেন। আরও অনেক কথাবার্তা ক্ষেপে গিয়ে বলতে থাকেন। পরবর্তীতে ৩০ কেজির চারটি বস্তায় ওজন দেখলে প্রত্যেকটি বস্তায় ২৯ কেজি করে চাল পাওয়া যায়।

ডিলার ইলিয়াস মিয়ার মোট কার্ড সংখ্যা ৫৪৫ জন সুবিধাভোগী গ্রাহীতা। প্রতিজন থেকে ১ কেজি করে চাল কম দিলে ৫৪৫ কেজি চাল কোথায় যায়?

এতো বস্তা চাল কোথায় যায় এ বিষয়েও অনেক গুঞ্জন রয়েছে! কাউকে বলতে শোনা যায় এ সকল চাল গুদাম থেকেই বিক্রি করে আসে ডিলররা আবার কেউ কেউ বাহিরেও বিক্রি করে দেয়। 

এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোসাঃ শারমিন জাহান বলেন, আপনি অফিসে আসেন আপনার সাথে সামনাসামনি তার সাথে কথা বলিয়ে দিবো। চাল কম দেয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, চাল উঠা নামানোর সময় কম হতে পারে! অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন, অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। ৩০ কেজি চালের কম দিতে পারবে না। 

যদি কেউ কম দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *