
১২১টি দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে থাইল্যান্ডে শুরু হয়েছে ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসর। নানা ধরণের কার্যক্রম ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জমজমাটভাবে চলছে এই আয়োজন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দর্শকদের ভোটে বিভিন্ন বিভাগে মূল্যায়ন।
‘পিপলস চয়েস’ বিভাগে বাংলাদেশি প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলা মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে উঠে এসেছিলেন তৃতীয় স্থানে। তখন তাঁর সামনে ছিলেন কেবল ফিলিপাইন ও চিলির প্রতিযোগী। পরে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ভোরে উঠে আসেন দ্বিতীয় অবস্থানে। ভোট গ্রহণ চলবে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।

শুধু ‘পিপলস চয়েস’ নয়, আরও কয়েকটি বিভাগেও এগিয়ে আছেন মিথিলা—
- বেস্ট ন্যাশনাল কস্টিউম: প্রথম
- মিস কনজেনিয়ালিটি: দ্বিতীয়
- বেস্ট ইভিনিং গাউন: দ্বিতীয়
- বেস্ট স্কিন: তৃতীয়
বর্তমানে ফুকেটের অনুষ্ঠান শেষ করে মিথিলা অবস্থান করছেন পাতায়ায়।
মিথিলা জানান,
“মঙ্গলবার রাতে যখন জানতে পারি যে আমি ভোটে তৃতীয় হয়েছি, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। শরীর কাঁপছিল, চোখে পানি চলে এসেছিল। এমন অনুভূতি ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। দেশের মানুষ আর সহকর্মীরা যেভাবে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন, ভোট চাইছেন—তা আমাকে সত্যিই গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করছে।”
তিনি আরও বলেন,
“এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে ভোটের পাশাপাশি বিচারকদের মূল্যায়নও গুরুত্বপূর্ণ। থাইল্যান্ডে আসার পর প্রতিটি ইভেন্টেই আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, এবং সবার প্রতিক্রিয়া থেকেও বুঝতে পারছি পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে। এখন শুধু দরকার দেশের মানুষের ভোট। শুনেছি, মঙ্গলবার একদিনেই ৬০ হাজারের বেশি ভোট পড়েছে! এটি বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত—প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স মঞ্চে আমরা এত ভালো অবস্থানে।”
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছে,
“দ্বিতীয় অবস্থানে যেতে আমাদের আরও প্রায় ২৫ হাজার ভোট দরকার!!! ইনশা আল্লাহ আজ রাতেই হবে! বাংলাদেশ অদম্য—বাংলাদেশের জন্য ভোট দিন।”
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুটজয়ী মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা গত ২ নভেম্বর থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালেও জাতীয় পর্যায়ে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ খেতাব জয় করেছিলেন তিনি, তবে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে সে বছর আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিতে পারেননি।
