
এ্যালার্জি, একজিমা, সোরিয়াসিস, এ্যাজমা থেকে শুরু করে ১০০ এর উপরে অটোইমিউন ডিজিজের মূল উৎস হলো লিকি গাট বা গাট পারমিয়াবিলিটি। এটা অন্ত্রের এমন একটি অবস্থা যেখানে বাঞ্ছিত পুষ্টি ছাড়াও অবাঞ্ছিত প্রোটিন, ক্ষুদ্র খাদ্যকণা, ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিন রক্তে ঢুকে যেতে পারে! এসব অবাঞ্ছিত জিনিসকে রক্তধারা থেকে সরিয়ে দিতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এদের উপর আক্রমণ করে! এটাই তখন এ্যালার্জি, একজিমা, সোরিয়াসিস, এ্যাজমা সহ আরো ১০০ রকম অটোইমিউন রোগ হিসেবে প্রকাশ পায়!
এসব রোগে এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় হাজার ধরণের ঔষধ আছে। কিন্তু এসব রোগ ওসব ঔষধে সারে না! সারে না, কারণ তারা তো অসুখগুলোর মূল উৎস লিকি গাট সারানোর উদ্দেশ্যে ওসব ঔষধ বানায় নাই! আপনাকে সাময়িক উপশম দিতে তারা এমনসব ঔষধ বানায় যাতে আপনি সারা জীবন তাদের ঔষধ কিনতে বাধ্য হোন!
লিকিগাট সারানোর অনেকগুলো প্রাকৃতিক উপায় আছে!
– এই শীতকালে বাঁধাকপি হচ্ছে লিকিগাট সারানোর একটি মিরাকল মেডিসিনাল প্লান্ট!
এল গ্লুটামিন নামক এ্যামাইনো এসিড লিকি গাট সারাতে পারে। পাতাকপি এই এ্যামাইনো এ্যাসিডে ভরপুর! যাদের লিকি গাট আছে তারা প্রতিদিন ১ মুঠ পাতাকপি জুস বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। যাদের কোন সাইড ইফেক্ট হবে না, তারা পুরো শীতকাল জুড়ে খেয়ে যেতে পারবেন। তবে যাদের সাইড ইফেক্ট হবে তারা বন্ধ করবেন। থাইরয়েডের রোগীরা পাতাকপি খেতে পারবেন না।
– গরুর গোশত আরেক এল গ্লুটামিনের চমৎকার উৎস! গরুর গোশত দিয়ে কয়েক মাস কার্নিভোর ডায়েট করেও লিকি গাট সারিয়ে নিতে পারেন!
– এল গ্লুটামিন সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও পাওয়া যায়।
– অনেকের ক্ষেত্রে টক দই ভালো কাজ করে।
– যারা তরুন বয়সের তাদের অনেকের ক্ষেত্রে শুধু ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টও ভালো কাজ করে।
– অনেকের ক্ষেত্রে শুধু রোদ পোহানোই অটোইমিউন ডিজিজ নিরাময়ে যথেষ্ট।
আপনি একটা একটা করে বা কম্বিনেশন করে নিজের উপর পরীক্ষা করে নিতে পারেন কোনটায় সবচেয়ে উত্তম ফল পান।
