
খ,ম, জায়েদ হোসেন , নাসির নগর ( ব্রাহ্মণ বাড়ীয়া) থেকে: পশ্চিমে মেঘনা পূর্বে তিতাস। মাঝে সুবিশাল হাওর। নাম আকাশি হাওর। সূর্যের আলোয় চিকচিক করছে জলরাশি। হাওরের পেট কেটে চলে গেছে সরাইল-নাসিরনগর সড়ক। ধরন্তি সড়কটিতে দাঁড়ালে দিন শেষে দেখা যাবে সূর্য লুকাচ্ছে পানির নিচে। যেন আরেক মিনি কক্সবাজার।
বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত হাওর থাকে পানিতে টইটম্বুর। যান্ত্রিক জীবনের সকল ক্লান্তি আর অবসাদকে ধুয়ে ফেলতে পারে আকাশি হাওরের ঢেউ। এমন সৌন্দর্যে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে অবস্থিত ধরন্তিকে মিনি কক্সবাজার বলছেন কেউ কেউ। প্রতিদিন শত শত ভ্রমণ পিপাসুদের তৃষা মেটাচ্ছে ধরন্তির এই মিনি কক্সবাজার। ঈদ আর নানা পার্বণে এখানে থাকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।সেরা ট্যুর প্যাকেজ
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয় এই ধরন্তি হাওর, নজর কাড়ছে পর্যটকদের। নাসির নগর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিনে নাসির নগর – সরাইল উপজেলার মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত ধরন্তি হাওর। প্রতিদিন বিকেলেই নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখার জন্যে হাওরের উপর দিয়ে চলমান নাসিরনগর – সরাইল সড়কের দুই পাশে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।
ভৈরব উপজেলা থেকে আগত মোঃ ইয়াসিন বলেন, এই হাওরে সমুদ্রের বেলাভূমি না থাকলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে এটি অতুলনীয়। এজন্যই অনেকে একে মিনি কক্সবাজারও বলে থাকে। হাওরের দিগন্ত জোড়া থৈ থৈ পানি আর মেঘের লুকোচুরি খেলায় বর্ষার বিকেলটা আমার কাছে মোহময় হয়ে উঠেছে।
ব্রাহ্মণ বাড়ীয়া জেলা সদর আগত জেরিন আক্তার বলেন , প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসি ধরন্তি মেদির হাওরে। সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা দুই ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে এই আনন্দ উপভোগ করতে। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান – দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের বসার মতো কোন ব্যবস্থা নেই।
হাওরে ছোট ডিঙ্গি নৌকা ও স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে। দর্শনীয় স্থানটিকে পর্যটকদের বসার স্থান নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মানের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক পর্যটক। দিগন্তজোড়া এই হাওরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা আর পূর্ব প্রান্তে তিতাস নদসহ অসংখ্য খালবিল জলাশয় রয়েছে। প্রতিবছর বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ছয়মাস থৈ থৈ পানি থাকে এই হাওরে ।