
সাবিত রিজওয়ান
স্কুল–কলেজ জীবনের পরীক্ষাগুলো আমাদের গড়ে তোলার কথা; কিন্তু অনেক সময় এই পরীক্ষাই আমাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। ফলে পরিশ্রমী, মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী মাঝপথেই হারিয়ে যেতে বসে। গবেষণায় দেখা যায়—
১০০% শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০% পরীক্ষায় বসতেই চায় না।
১০% এর পড়ালেখায় কোনো মনোযোগ থাকে না।
আর ৩০% পরীক্ষা দিতে চাইলেও তাদের মনে থাকে তীব্র আতঙ্ক।
এই ভয়ের কারণেই অনেকেই ঝরে পড়ে— নক্ষত্র হওয়ার আগেই নিভে যায়।
হেনরি ফিশ্যাল কী ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, সে বিষয়ে আমার ধারণা কম; তবে একটা কথা স্পষ্ট— যে পরীক্ষা মানুষকে ভাঙে, সে পরীক্ষা রাখা বৃথা। আমি পরীক্ষার বিরুদ্ধে নই; আমি শুধু বলছি, পরীক্ষা এমন হওয়া উচিত যা মানুষকে গড়ে তোলে, ভেঙে দেয় না।
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটি করে গুণ, একটি করে আলো আছে। কিন্তু কোথাও গিয়ে সেই আলো নিভে যায়—
কোনও নক্ষত্রে চার্জ থাকে না,
কোনও নক্ষত্র আর আলো দিতেই চায় না,
কোনও নক্ষত্র তো অতিরিক্ত চাপেই হারিয়ে যায়।
এভাবেই আমরা অন্ধকারে ডুবে যাই। কারণ আমরা নক্ষত্রগুলোকে যত্ন করি না।
আমরা সবাই গুণী— কিন্তু সবার গুণ এক না। সবার পথও এক না। তবুও আমরা ভুলে যাই এই সত্যটি।
তাই মনে রাখুন, মানুষ তখনই বাঁচতে পারে যখন মানুষ মানুষকে বাঁচায়।
সবাই সবার জন্য বাঁচো— এখানেই লুকিয়ে আছে সত্যিকারের সুখ।
