হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্তর্রর্তী সরকারের ১০০ দিনে স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় ধরনের ভ্রমণকারীদের জন্য স্বপ্নের একটি নতুন অধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংস্কারের এক নতুন রূপ প্রত্যক্ষ করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির নীরব নায়ক প্রবাসীদের সেবা প্রদানের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে গৃহীত এসব উদ্যোগ বিমানবন্দরের সুবিধা, যাত্রীদের সুবিধা ও সামগ্রিক পরিষেবার একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচত হবে।
প্রবাসী লাউঞ্জ:
সবচেয়ে আন্তরিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রবাসী লাউঞ্জ চালু করা। জিয়া বিমানবন্দরে
একটি নিবেদিত স্থান চালু করার লক্ষ্য হচ্ছে আগত ও বহির্মুখী অভিবাসী শ্রমিকদের আরামদায়ক ও সম্মানজনক পরিষেবা প্রদান করা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করেছেন। লাউঞ্জে
যাত্রীদের জন্য বিশ্রামের জায়গা, ভর্তুকি মূল্যে খাবার সুবিধা এবং উন্নত ভ্রমণ সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করা হয়।
লাউঞ্জের উদ্বোধন করে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন যে, সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের অবদানকে সম্মান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো কিছু উদ্যোগ গ্রহনের ওপর জোর দেন। যেমন প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন,
অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো এবং ভ্রমণ সহজ করার সুবিধা। অভিবাসী শ্রমিক ও
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।