
চীনের থিয়ানকং মহাকাশ স্টেশনে শেনচৌ–২০ এর তিন নভোচারী গত সপ্তাহে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।
সম্প্রতি চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির খবরে জানা গেল, কমান্ডার ছেন তোং, ছেন চোংরুই ও ওয়াং চিয়ে গত সপ্তাহে থিয়ানচৌ-৯ কার্গো ক্রাফটে আনা দুটি নতুন ইভিএ স্যুট আনপ্যাক করেন। ডি ও ই মডেলের এই স্যুট আগে ৩ বছরে ১৫ বার ব্যবহারের সুযোগ ছিল, এখন তা ৪ বছরে ২০ বার হয়েছে। স্যুটগুলো পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করেন তিন নভোচারী।
জীববিজ্ঞান গবেষণায় তারা অর্গান-অন-আ-চিপ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, যাতে মহাকাশে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সংক্রান্ত বাধা নিয়ে আরও জানা যায় এবং কোষ, টিস্যু ও অঙ্গ পর্যায়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতার প্রভাব বোঝা যায়।
এ ছাড়া হাড়ের বিপাকীয় নিয়ন্ত্রণ, মাইক্রোবায়োটা ও পুষ্টিগত বিপাক নিয়েও পরীক্ষা হয়। কমান্ডার ছেন তোং রামান স্পেকট্রোস্কোপি দিয়ে প্রস্রাবের উপাদানের বিপাকীয় উপকরণ বিশ্লেষণ করেন।
তারা গলার নমুনা সংগ্রহ করে শ্বাসতন্ত্রের মাইক্রোবায়োম নিয়েও‘ গবেষণা করেন। নির্দিষ্ট অংশ জীবাণুমুক্ত করার আগে ও পরে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা তুলনা করা হয় এ সময়। ম্যাটেরিয়াল-এনার্জি রূপান্তর সিস্টেমও ইনস্টল করা হয়েছে, যাতে মহাকাশে নভোচারীদের তৈরি বর্জ্য পরিশোধন করা যায়। এ ছাড়া, মহাকাশে মাইক্রোবায়াল ফুয়েল সেলের কার্যকারিতাও যাচাই করা হয়।
মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরীক্ষায় বার্নার পরিবর্তনসহ কমবাশন পরীক্ষা করেন নভোচারীরা। এমআর যন্ত্র ব্যবহার করে নভোচারীরা কণ্ঠস্বর ও হাতের ইশারায় চলবে এমন সিস্টেম পরীক্ষা করেন। ওয়েনথিয়ান মডিউলে মাইনাস ৮০° সেলসিয়াসের ফ্রিজ ইনস্টল ও ঘুমানোর কক্ষের দরজা বদলানো হয়।
সুস্থ থাকার জন্য হাড়ের ঘনত্ব, পেশীর আয়তন ও শ্রবণ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন তিন চীনা নভোচারী। নিয়মিত ব্যায়ামও করতে দেখা যায় তাদের।
সূত্র: সিএমজি