
জেমস আব্দুর রহিম রানা, যশোর
চুমু তো সবাই খায়।
কেউ খায় অভ্যাসে, কেউ খায় তৃষ্ণায়,
কেউ খায় দেহের ক্ষুধা মেটাতে,
কেউ আবার খায় নিছক খেলায়, ক্ষণিকের নেশায়।
কিন্তু আসল চুমু জন্ম নেয় অন্য কোথাও।
সেই মুহূর্তে, যখন ঠোঁটের আলতো ছোঁয়া
শরীরের সীমানা ছাড়িয়ে যায় গভীরে,
যেখানে নিঃশ্বাস নিঃশ্বাসের সাথে মিলেমিশে যায়,
আর নীরবতা ভেসে ওঠে একমাত্র একটি নাম—
অনুজ।
সেই চুমু আর কেবল স্পর্শে আটকে থাকে না।
এটি হয়ে ওঠে আত্মার গোপন সংলাপ,
যেখানে প্রেম ও কামনা একসাথে ভেসে চলে এক অবিচ্ছেদ্য স্রোতে।
দেহের উষ্ণতা গলে যায় হৃদয়ের শান্তিতে,
প্রতি নিঃশ্বাস, প্রতি স্পর্শ, প্রতি শব্দ হয়ে ওঠে এক নতুন ধ্বনি।
চুমু তখন একটি যাত্রা,
যেখানে দু’জন মানুষ ধীরে ধীরে ডুবে যায় একে অপরের গভীরে।
শরীর, মন আর আত্মার সব সীমারেখা হারিয়ে যায়,
প্রেমের অজানা নদী দু’জনকে একাকার করে ফেলে।
সেই যাত্রায় আগুন জ্বলে।
দেহ জ্বলে ওঠে তীব্রতায়,
কিন্তু সেই আগুনই আলো হয়ে ভরে তোলে অন্তর।
এ আগুন প্রেমের সবচেয়ে সাহসী,
সবচেয়ে সত্য রূপ।
এটি সেই আগুন যা ভেঙে দেয় সব বাঁধন,
যা মিশিয়ে দেয় দুই প্রাণকে এক অমোঘ বন্ধনে।
চুমু তখন আর নিছক ক্ষণিকের নেশা নয়।
চুমু তখন হয়ে ওঠে অনন্ত মিলন।
যেখানে সময় থেমে যায়,
পৃথিবী নিঃশব্দ হয়ে যায়,
আর প্রেমের ভাষা হয়ে ওঠে শাশ্বত, অবিনশ্বর, সত্য।
প্রতি চুমুতে ভেসে ওঠে একটি গল্প।
কিছু চুমু আসে আগুনের মতো,
কিছু আসে শান্তির মতো।
কিছু চুমু হৃদয়কে ভেঙে দেয়,
কিছু চুমু জীবনকে গাথা বানিয়ে দেয়।
চুমু তখন শুধু ঠোঁটের খেলা নয়।
চুমু তখন হয়ে ওঠে আত্মার এক কবিতা,
যা লেখা হয় নীরবতার কাগজে,
পাঠ করা যায় শুধু হৃদয়ের চোখে।
প্রতি চুমু, প্রতি নিঃশ্বাস, প্রতি স্পর্শ,
সব মিলিয়ে প্রেমের এক অনন্ত প্রতিধ্বনি তৈরি করে। ❤️
চুমু, যখন সত্যি হয়,
তখন শুধু শরীরই নয়—
আত্মা, মন, হৃদয়, সব মিলিত হয়ে যায় এক।
প্রেম তখন আর দেহে সীমাবদ্ধ থাকে না,
প্রেম তখন হয়ে ওঠে এক চিরন্তন স্রোত,
যেখানে দুই প্রাণ মিলিয়ে যায় এক অদৃশ্য নদীতে,
যেখানে নেই কোনো শুরু, নেই কোনো শেষ।
চুমু তখন কেবল ঠোঁটের স্পর্শ নয়।
চুমু তখন হয়ে ওঠে জীবন, হয়ে ওঠে প্রণয়,
হয়ে ওঠে সেই আগুন যা অন্ধকারকে আলোকিত করে,
হয়ে ওঠে সেই শান্তি যা আত্মাকে পূর্ণ করে।
এটি হলো চুমুর অনন্ত যাত্রা—
যেখানে প্রেমই একমাত্র নাবিক,
প্রেমই একমাত্র পথপ্রদর্শক,
প্রেমই একমাত্র সত্য।