শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের যুবদল সেক্রেটারি ফারুক হোসেন শ্যামল কিছুদিন আগেও বাজারে চা বিক্রি করতেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে তিনি ধীরে ধীরে বাজারের চাঁদাবাজি, জমি দখল ও ভাড়া বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের জমি দখল করে সেখানে ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছেন তিনি। শ্যামলের এই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছেন তার চাচা যুবলীগ নেতা বাবলু ও মেম্বার ফারুকের চাচা নজরুল ইসলাম নজু এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা সবাই বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও প্রভাব বিস্তারের কাজে সক্রিয় ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, কুরুয়া বাজারে চা বিক্রির সুবাদে শ্যামলের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা হয় এবং এ সুযোগে তিনি পুরো কুরুয়া বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তার দোকান থেকে বসে রাজনৈতিক শলাপরামর্শ হয় এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে ‘দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ পরিকল্পনা করা হয়। পরে ওই সভাপতির ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, এই হামলার মামলার সমস্ত খরচ মেটানো হয় স্ট্যান্ডের তোলা টাকা থেকে। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নজরুল ইসলাম নজু, যুবদল নেতা ফারুক মেম্বার এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।