
রোগীর স্বজনদের ওপর আর্থিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে চীন সরকার ১১তম জাতীয় ওষুধ সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করেছে।
শনিবার চীনের ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই কর্মসূচির নিয়মাবলী প্রকাশ করে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো ওষুধের ক্লিনিক্যাল সরবরাহ নিশ্চিত করা, গুণগত মান বজায় রাখা এবং বাজারের অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা রোধ করা।
২০১৮ সাল থেকে চালু হওয়া এই কর্মসূচির মাধ্যমে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতামূলক বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। এর ফলে ওষুধের দাম কমে এবং প্রধান প্রধান সরকারি হাসপাতালগুলোতে বড় আকারের চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত হয়।
এবারকার কর্মসূচিতে, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ওষুধের চাহিদা, নাম অথবা পছন্দের ব্র্যান্ড উল্লেখ করে জানাতে পারবে। যদি কোনো হাসপাতালের পছন্দের ব্র্যান্ড বিডিংয়ে জয়ী হয়, তাহলে সেই প্রস্তুতকারক সরাসরি সেই প্রতিষ্ঠানে ওষুধ সরবরাহ করবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, এই রাউন্ডে প্রায় ৪৬ হাজার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ৭৭% প্রতিষ্ঠান তাদের পছন্দের ব্র্যান্ড উল্লেখ করেছে।
শিশুদের জন্য কম মাত্রার ওষুধের সরবরাহ উৎসাহিত করতে প্রশাসন এইবার ছোটদের ওষুধের জন্য মূল্য নির্ধারণের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। এতে করে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সহজলভ্যতা বাড়বে।
নির্বাচিত ওষুধের মান নিশ্চিত করতে, বিডিংয়ে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতার ওপর উচ্চতর মানদণ্ড প্রয়োগ করা হবে। যেসব প্রস্তুতকারকের ক্লিনিক্যাল স্বীকৃতি এবং ধারাবাহিক গুণগত মানের রেকর্ড আছে, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রশাসন একটি উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, এবং বাজার-ভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে বিড জমা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনো বিড বিশেষজ্ঞদের নির্ধারিত ‘অ্যাঙ্কর প্রাইস’ থেকে কম হয়, তবে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির দশটি রাউন্ডে ৪৩৫ ধরনের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার ফলে ওষুধের গড় মূল্য ৫০ শতাংশ কমেছে।
সূত্র : সিএমজি
