Friday, August 15
Shadow

বেনাপোল কাস্টমস থেকে ১৪০ কর্মীকে অপসারণ

জেমস আব্দুর রহিম রানা, যশোর: বেতন ছাড়াই কোটিপতি, চলতেন দামি গাড়িতে এবং গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি এমন সব গুরুতর অভিযোগের মুখে থাকা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ১৪০ জন বেসরকারি কর্মীকে (এনজিও) একযোগে অপসারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় এবং দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরির অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নবাগত কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন যোগদানের পরই এই কঠোর পদক্ষেপ নিলেন, যা বন্দর ব্যবহারকারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, কাস্টমস হাউসের কমিশনারের দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষণ গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শাখায় এই ‘এনজিও’ কর্মীরা অবস্থান করতেন। সরকারি কর্মচারী না হয়েও তারা কাস্টমসের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতেন এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতেন। অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে অনৈতিক কর্মকা-ে সহায়তা করে এবং ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে তারা অল্প দিনেই কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই এনজিও কর্মীদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করলে তাদের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই এনজিও কর্মীদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তৎকালীন কর্মকর্তারা আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করেননি। এরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। মূলত এদের কারণেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছিল।”

নবাগত কমিশনারের এই পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই অপসারণের পর কাস্টমসের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরবে এবং বন্দরের কাজে গতি আসবে। একই সঙ্গে, অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখতে তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *