Friday, August 15
Shadow

প্রথম বর্ষ ক্লাসে না ফিরলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভর্তি বাতিল হবে- বাকৃবি উপাচার্য

বাকৃবি প্রতিনিধি:  গত ২৮ জুলাই থেকে কম্বাইন্ড ডিগ্রির (বিএসসি ভেট সায়েন্স এন্ড এএইচ) দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও অনুষদের শিক্ষকদের সাথে একাধিক আলোচনা করেও সমাধান না আসায় আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। এর মাঝে গত ১১ আগস্ট থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও নবীন শিক্ষার্থীরাও অনুষদীয় নবীনবরণ ও ক্লাস বর্জন করে যোগ দেন আন্দোলনে। 

সর্বশেষ এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও এবং কম্বাইন্ড ডিগ্রির রোডম্যাপ চেয়ে ২৪ গন্টার আল্টিমেটাম জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। তিনি জানান, আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগোচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের যেকোনো ন্যায্য দাবিকে সম্মান করি। তবে অবশ্যই সেটি গণতান্ত্রিক এবং সিস্টেমেটিকভাবে করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে যতটুকু সম্ভব আমি তাদের পাশে থাকব।

এসময় পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ভর্তি হওয়ার পর প্রথম ১৫ দিন ক্লাস না করলে ভর্তি বাতিল হয়ে যায়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। তাদের অনুষদ বন্ধ কিন্তু এটি তো প্রশাসন বন্ধ করেনি। এটি ছাত্ররা করেছে, কাজেই এর দায় অবশ্যই ছাত্রদের উপর যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন হঠাৎ করে শুরু করেছে। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। শিক্ষার্থীরা সেসময় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জি. এম. মুজিবর স্যারের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছে। পরবর্তীতে আমি এসে ওদেরকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি ফরম্যাটে তাদের আইডি, রেজিস্ট্রেশন, লেভেল, সেমিস্টার, স্বাক্ষরসহ দরখাস্ত দিতে বলেছি এবং তারা জমা দিয়েছে। কাগজগুলো আমি সেই কাগজগুলো অফিসিয়ালভাবে ডিনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ফ্যাকাল্টি কমিটির মিটিং দিয়ে শিক্ষকদের মতামত নিয়ে আমার কাছে পাঠানোর জন্য। তারা মতামত নিয়ে আমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে, সেটি আমার কাছে জমা আছে। ফ্যাকাল্টিতে সব মিলিয়ে ছাত্র সংখ্যা ১০৪৯ জন, তার মধ্যে ৫০১ জন স্বাক্ষর দিয়েছে। আবার অনেকে আমাকে ইমেইলও করেছে যে তারা এটার সাথে একমত নয় এবং তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

একইভাবে ভেটেরিনারি অনুষদও স্বাক্ষরসহ কাগজপত্র জমা দিয়েছে এবং তাদের সংখ্যাটা ২৫০-এর বেশি নয়। ওদের চিঠিও আমি একইভাবে তাদের ফ্যাকাল্টিতে পাঠিয়েছি তাদের কমিটি করে তাদের মতামত নিয়ে আমাকে চিঠি পাঠানোর জন্য। সেই চিঠি আমি এখনো পাইনি, আশা করি, উত্তর দুই-এক দিনের মধ্যে আসবে। এই চিঠিটি আমার কাছে আসলে আমি সিদ্ধান্ত নেব এবং একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান উপাচার্য। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *