
লেখার পেছনে চিন্তার প্রয়োজন।আর সে চিন্তা তৈরি হয় পাঠ আর আলোচনার ভেতর দিয়ে। ঠিক এমনই এক চিন্তার জায়গা তৈরি হয়েছিল ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ পাঠচক্রে। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে প্রতিমাসের মতো জুন মাসেও এক বিশেষ পাঠচক্রের আয়োজন হয়। যেখানে একঝাঁক তরুণের সমন্বয়ে মাঠটি জ্ঞানচর্চার মুক্তমঞ্চে পরিণত হয়। উন্মুক্ততা ও বিষয়বস্তুর আলোচনার বৈচিত্র্যের কারণে পাঠচক্রটি বিশেষত্ব লাভ করেছিলো।
পাঠচক্রের সূচনা হয় সমসাময়িক বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আলোচনা দিয়ে।গভীর মনোযোগ দিয়ে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বিশেষত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে নিজস্ব বিশ্লেষণ।বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং তরুণদের করণীয় নিয়েও চলে প্রাণবন্ত সংলাপ।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।যেখানে অংশগ্রহণকারী সবাই একে অন্যকে প্রশ্ন করে, মতবিনিময় করে এবং যুক্তির মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাভাবনা উপস্থাপন করে।এই অংশটি ছিল সবচেয়ে সক্রিয় ও শিক্ষণীয়।যেখানে কেউ কেবল শ্রোতা ছিলো না।সবাই ছিলো অংশগ্রহণকারী।
উন্মুক্ত আলোচনায় কবিতা আবৃত্তিও করা হয়।তাদের সাবলীল উপস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীরা একটুখানি ভিন্ন স্বাদ পায়, যা পরিবেশে বিনোদনের আমেজ এনে দেয়।
কেউ কথা বলেছেন ইতিহাসভিত্তিক বই নিয়ে,কেউ আবার জীবনভিত্তিক নানা দিক নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন।আলোচনার পরিধি যেমন বিস্তৃত ছিল, তেমনি ছিল চিন্তার গভীরতাও।এই পাঠচক্র শুধু একটি আয়োজনে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং হয়ে উঠেছিল চিন্তা বিনিময় ও মত প্রকাশের এক উন্মুক্ত ক্ষেত্র।তরুণদের এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও জ্ঞাননির্ভর, মানবিক এবং যুক্তিবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
মোঃমেহেরাব হোসেন রত্ন
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ।
অনার্স তৃতীয় বর্ষ,ঢাকা কলেজ।
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম,ঢাকা কলেজ শাখা।