
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তার প্রচলিত অস্ত্রভাণ্ডার কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ওপরই নির্ভর করে না। বরং দেশটির সবচেয়ে বড় কৌশলগত সুবিধা হলো—ইসরায়েলই এই অঞ্চলের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। যদিও ইসরায়েল কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি যে তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তবুও বিশ্বজুড়ে এ বিষয়টি প্রায় সর্বজনস্বীকৃত।
তাই, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে তা ইসরায়েলের জন্য সেই একচেটিয়া সুবিধা হারানোর শামিল হবে। আর এটিই ইসরায়েলের জন্য ‘লাল রেখা’—অর্থাৎ এমন এক সীমা, যার পরে তারা আর ধৈর্য ধরবে না।
বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বারবার দাবি করে আসছেন যে, ইরান খুব শিগগিরই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে চলেছে। তবে তেহরান সবসময় বলেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুধুই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে—বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং চিকিৎসা গবেষণার জন্য।
সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “ইরান খুব অল্প সময়ের মধ্যে—হয়তো এক বছরের মধ্যে, এমনকি কয়েক মাসের মধ্যেই—পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারত।”
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইরানের কাছে বর্তমানে “১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভাজনযোগ্য (fission) উপাদান রয়েছে, এবং তা কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।”
এই তথ্য ও আশঙ্কাগুলোর ওপর ভিত্তি করেই ইসরায়েল মনে করছে, তারা সময়ের আগেই ইরানকে প্রতিহত না করলে পরবর্তীতে পারমাণবিক ভারসাম্য হারিয়ে তাদের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
সূত্র: আল জাজিরা