Thursday, June 19
Shadow

আর কী কী কারণে ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল?

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বহুবার ইরানকে আখ্যা দিয়েছেন “একটি অক্টোপাসের মাথা” হিসেবে—যার শাখা-প্রশাখা বা ‘টেন্টাকল’ ছড়িয়ে রয়েছে পুরো অঞ্চলজুড়ে, হুথি বিদ্রোহী, হেজবুল্লাহ এবং হামাস পর্যন্ত। এই ধারণা অনুযায়ী, ইরান হলো ওইসব আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মূল নিয়ন্ত্রক, যাদের সম্মিলিতভাবে বলা হয় “প্রতিরোধ অক্ষ” বা Axis of Resistance—যারা ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব পোষণ করে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল হামাস ও হেজবুল্লাহ—এই দুই বড় শত্রুকে যথেষ্টভাবে দুর্বল করে দিতে সক্ষম হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের আক্রমণ ক্ষমতা ইসরায়েলের ওপর কার্যত সীমিত হয়ে গেছে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে গেছে। এতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হেজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও ইসমাইল হানিয়েহ।

বিশেষ করে হেজবুল্লাহর ওপর চালানো হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল আশঙ্কা করেছিল যে, তীব্র পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসবে। কিন্তু তা হয়নি। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধপন্থী (হকিশ) রাজনীতিকরা বলছেন, তাদের দেশের সামনে এখন এক “অভূতপূর্ব সুযোগ” এসেছে—যার মাধ্যমে তারা তাদের শত্রুদের একের পর এক টার্গেট করতে পারে, এমনকি ইরানকেও। তারা এমনকি বিশ্বাস করছে যে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নতুনভাবে গঠনের (reshape) সুযোগ তৈরি হয়েছে।

কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইসরায়েল এমনও ভাবতে পারে যে, এখনই ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ বা regime change ঘটানোর সুযোগ রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, তা বাস্তবায়ন করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি একটি যুদ্ধের প্রয়োজন হবে—যার সামর্থ্য বা প্রস্তুতি ইসরায়েলের বর্তমান ক্ষমতার বাইরে।

তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, শুক্রবারের (সাম্প্রতিক) ইসরায়েলি হামলার আগে গত এক বছরে ইরান, ইসরায়েল বা তাদের মিত্রদের মধ্যে সরাসরি কোনো মুখোমুখি সংঘাত ঘটেনি। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলার হুমকিও ছিল না—শুধু পাল্টা জবাবের সম্ভাবনা ছাড়া, যদি ইসরায়েল আগে হামলা করে বসে।

সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *