
ইসরায়েল তার পূর্বঘোষিত হামলা শুরু করেছে ইরানের বিরুদ্ধে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এই হামলা “প্রয়োজনে যতদিন লাগবে” ততদিন চলবে।
শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া এই হামলাগুলো পরিকল্পিত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইরানের সামরিক ও সরকারি স্থাপনায় আঘাত হানা হয় এবং নিহত হয়েছেন দেশটির শীর্ষ কয়েকজন সামরিক নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর প্রধান হোসেইন সালামি এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই হামলা এমন এক সময় চালানো হলো যখন ইরান এবং ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছিল। ফলে অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের হুমকি কেবল ইরানের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরির একটি যৌথ কৌশলের অংশ ছিল।
ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র শুধু দেশটির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীই নয়, বরং জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো নিন্দা প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে ভেটো প্রয়োগ করে আসছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলেও ইসরায়েলকে জাতিসংঘে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় না মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা দেয়ার কারণে।
তবে ইরানের মতো এক প্রভাবশালী আঞ্চলিক শক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান চালানো ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ইরানের রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র মিত্র গোষ্ঠী। এই হামলার পর ইরান প্রতিশোধ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, পুরো অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন থাকায় তাদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে— এত বড় ঝুঁকি নিয়েও ইসরায়েল কেন ইরানের বিরুদ্ধে এখনই হামলা চালাল? এর পেছনে কী কারণ?
সূত্র: আল জাজিরা