
ধ্বংসযজ্ঞ, হাহাকার আর যুদ্ধের ভয়াবহতা চারপাশে—তবুও ঈমান ও ঐতিহ্যে অটল গাজার মুসলিমরা। পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছে তারা, শোক ও সংকটের মাঝেও ধর্মীয় অনুশাসন ও বিশ্বাসে দৃঢ় থেকেছে।

শুক্রবার (৬ জুন) এএফপির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, গাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আবু আমিন পাড়ায় একটি অস্থায়ী নামাজ কক্ষে—নূর মসজিদের সামনে—সকালের ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, বেঁচে থাকা মানুষজনের চোখেমুখে শোক—তারপরও তারা ঈদের নামাজে একত্র হয়েছেন।

যুদ্ধ আর সহিংসতার মাঝেও শিশু, পরিবার ও সাধারণ মানুষ ঈদের কোরবানি ও স্মরণ-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। কেউ কেউ এখনো সদ্য হারানো প্রিয়জনের শোক বুকে ধারণ করেই হাজির হয়েছেন নামাজে।
এবারের ঈদ উদ্যাপন ছিল সংযত, আবেগময় এবং গভীরভাবে প্রতীকী। শুধু নামাজেই নয়, একে অপরের পাশে দাঁড়ানো ও সহমর্মিতার হাত বাড়ানোর মধ্য দিয়েও ঈদের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন গাজার মানুষ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত এক জনপদে, জীবন যখন প্রতিদিন এক কঠিন লড়াই—সেখানে ঈদের এমন মুহূর্তগুলো হয়ে উঠেছে আত্মিক শান্তি, স্মৃতি আর সংহতির প্রতীক। ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা—ত্যাগ, ধৈর্য আর একে অপরের পাশে থাকার মানসিকতা—এই কঠিন সময়েও গাজাবাসীরা তা হৃদয়ে ধারণ করেছে।