Thursday, May 22
Shadow

আবহাওয়ার কারণে কলকাতার বদলে আইপিএল ফাইনাল আহমেদাবাদে

চলতি আইপিএলের (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) ফাইনাল ম্যাচ আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেনে। আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ফাইনালের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গুজরাটের আহমেদাবাদে অবস্থিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। একই সঙ্গে কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠেই।

মঙ্গলবার (২০ মে) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই একাধিক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যাতে করে ম্যাচগুলো নির্বিঘ্নে আয়োজন করা যায়।

সংশোধিত সূচি অনুযায়ী:

  • কোয়ালিফায়ার-১ ও এলিমিনেটর ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ও ৩০ মে, নিউ চণ্ডীগড়ের মুল্লানপুরে
  • কোয়ালিফায়ার-২ ও ফাইনাল ম্যাচ দুটি আয়োজিত হবে ১ ও ২ জুন, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে

প্রথমে প্লে-অফের প্রথম দুটি ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল হায়দরাবাদে, এবং ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) হওয়ায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) ফাইনাল কলকাতায় আয়োজনের জোর দাবি জানায়। কিন্তু বৃষ্টির ঝুঁকি মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।

বিসিসিআই-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন আবহাওয়া। বর্ষার আগমনী সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, যা টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।”

শুধু ফাইনাল নয়, এর আগেই আরসিবি বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচটিও (২৩ মে) ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে। এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে একই কারণে—বৃষ্টির সম্ভাবনা।

বিসিসিআই জানিয়েছে, নতুনভাবে নির্ধারিত ভেন্যু আহমেদাবাদ ও নিউ চণ্ডীগড়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। ফলে নিরাপদ আয়োজনে এই দুই শহরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফাইনাল ম্যাচ এবার ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম—নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে ইডেন গার্ডেনে ফাইনাল আয়োজন না হওয়ায় হতাশ কলকাতার দর্শকদের মন ভেঙেছে।

তবুও খেলাধুলার সফল ও নিরবচ্ছিন্ন আয়োজনের স্বার্থে আবহাওয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতেই হচ্ছে আয়োজকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *