
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চীনের অত্যাধুনিক মাল্টিফাংশনাল মানববিহীন আকাশযান (ইউএভি) ‘জেট্যাঙ্ক ০৪’ চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে প্রথম উড্ডয়ন মিশন পরিচালনা করবে।২০২৪ সালে ১৫তম চীন আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ও মহাকাশ প্রদর্শনীতে প্রথমবার জনসম্মুখে আনার পর থেকেই জেট্যাঙ্ক ইউএভি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।এই অত্যাধুনিক ইউএভিটির দৈর্ঘ্য ১৬.৩৫ মিটার এবং এর ডানার বিস্তার ২৫ মিটার। জেট্যাঙ্কের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ১৬ টন, যেখানে এটি সর্বোচ্চ ৬ টন পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম। পাওয়ার সিস্টেম হিসেবে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করার কারণে এই ড্রোনটি সর্বোচ্চ ১৫ হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে এবং ঘন্টায় ৭০০ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছাতে সক্ষম।জেট্যাঙ্ক ইউএভির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর অসাধারণ সহনশীলতা। এটি একনাগাড়ে ৭ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে এবং একটানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে থাকতে সক্ষম।এছাড়াও, জেট্যাঙ্ক ইউএভি তার পেলোড বহনের ক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আটটি হার্ডপয়েন্টসহ, এই ইউএভি ১ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার গাইডেড বোমা, আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বহুমুখী মাউন্টিং ক্ষমতা জেট্যাঙ্ক ইউএভিকে আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা প্রদান করবে। এই ইউএভির সফল উড্ডয়ন চীনের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএমজি বাংলা