Wednesday, May 21
Shadow

ফিচার

পাঠ্যবইয়ের বাইরে শেখা: তোমার সত্যিকারের জানার শুরু এখানেই!

পাঠ্যবইয়ের বাইরে শেখা: তোমার সত্যিকারের জানার শুরু এখানেই!

ফিচার, শিক্ষা
লেখা: মোঃ জামাল হোসেন (শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালক, ন্যাশনাল গার্লস মাদ্রাসা, ফেনী) আমরা প্রতিদিন স্কুলে যাই, বই খুলে পড়ি, ক্লাসে শিক্ষক যা বলেন তা খাতায় লিখি। পরীক্ষা আসে, মুখস্থ করি, নম্বর পাই। কিন্তু ভেবে দেখেছো কি, এই বইয়ের বাইরেও এক বিশাল জগত আছে, যেটি তোমার কৌতূহল, যুক্তিবোধ আর বাস্তব জীবনের প্রস্তুতিকে বাড়িয়ে তোলে? আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় বলেছেন, “থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগৎটাকে- কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।” এই বাইরের জগতটাকে জানতে হবে, জানার চেষ্টা করতে হবে। আজ আমরা কথা বলবো এমন কিছু শেখার বিষয়ে, যা তোমার পাঠ্যসূচির মধ্যে নেই, কিন্তু জীবনে একান্ত প্রয়োজনীয়। ১. অন্ধ অনুসরণ থেকে সরে এসো, ‘কেন’ জিজ্ঞাসা করো তুমি হয়তো ভূগোলে পড়েছো – নদী পাহাড় কিভাবে তৈরি হয়। কিন্তু কখনো ভেবেছো – নদী শুকিয়ে গেলে গ্রামের ম...
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের অ্যাডভোকেসি সভা

বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের অ্যাডভোকেসি সভা

খুলনা, বাংলাদেশ, সংবাদ, স্বাস্থ্য
এম এন আলী শিপলু, খুলনা : বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে বিভাগীয় অ্যাডভোকেসি সভা মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।প্রধান অতিথি বলেন, খুলনাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়। এ সময়ে আমাদের শিশুদের সঠিক সময়ে যে টিকাগুলো দেওয়ার কথা থাকে সেটা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে শিশুদের জন্য টিকাদানের যে নির্ধারিত সময় থাকে সেই সময়ে টিকা নিতে পারে না। এই বিষয়গুলো আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। এক সময় দেখেছি বাংলাদেশে শিশুদের টিকা দেওয়ার হারটাও কম ছিল। যার ফলে শিশুদেরকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এর মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আমাদের বাচ্চাদের আগের পরিস্থিতি তেমন মোকাবেলা করতে হচ্ছে না।ডাক্তারদের প্রশংসা করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এটার জন্য আপনাদের অবদান খুবই গুরুত্বপূ...
বোরোর নবান্ন উৎসব

বোরোর নবান্ন উৎসব

কৃষি, বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ, সংবাদ
আসাদুজ্জামান খান মুকুল, নান্দাইল ময়মনসিংহ : বৈশাখ এলে বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় বোরো ধান মাড়াইয়ের উৎসব। আবহমান কাল ধরে বাংলার ঘরে ঘরে চলে এসেছে এই উৎসব। এই সময়টি যেন কৃষকের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সময়। কষ্ট, ঘাম, প্রতীক্ষা—সবকিছুর ফসল হলো এই বোরো ধান। তাই এই ধান মাড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আনন্দ, উৎসব, আর গভীর এক শিকড়ের টান। বোরো ধান মূলত শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ঘরে ওঠে। জানুয়ারি থেকে রোপণ শুরু হয় এবং এপ্রিল-মে মাসে কাটার মৌসুম আসে। শুষ্ক মৌসুমে সেচনির্ভর এই ধানের জন্য কৃষকদের প্রস্তুতি শুরু হয় অনেক আগেই। জলসেচ, সার, বীজ আর খাটুনি—সব মিলিয়ে এটি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। কিন্তু যখন সেই প্রতীক্ষার ফল মেলে, তখন কৃষকের ঘরে শুধু ধান নয়, আনন্দও ওঠে। ধান কাটা শুরু হয় দলবেঁধে। গ্রামে তখন উৎসবের আমেজ। গানের তালে তালে কাস্তে চালায় কৃষাণ। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে এখনো বাউল বা ভাটিয়ালি...

পুতুলবাজির খেলা 

কবিতা, ফিচার, সাহিত্য
আসাদুজ্জামান খান মুকুল  রক্তিম রবি স্তিমিত যখন আবিরের আভা মেখে, দেখি ক্রমে ক্রম আঁধার রজনী ধরণী দিয়েছে ঢেকে। প্রভাতের রবি দিয়েছিল উঁকি  যবে জীবনের পর, কলরোল কল কোলাহলে মাতি বাঁধতে সুখের ঘর। শূন্যের ঘড়া পূর্ণ্যের তরে সর্বদা রত থাকি, ভাবিনি তো কভু সোনালী আলোক তমসায় দিবে ঢাকি। জীবনযুদ্ধে করেছি লড়াই  উন্নত রেখে শির, আজিকে আমার ত্রাসে কাঁপে বুক ছাড়তে হবে যে নীড়! আলোর ভুবনে বিমোহিত হয়ে  খেলেছি রঙের খেলা, পুতুলবাজির খেলায় কেবল  ফুরায় দিবস বেলা।...
৭ টি নিয়ম মানলেই ঝুকি কমবে স্ট্রোকের

৭ টি নিয়ম মানলেই ঝুকি কমবে স্ট্রোকের

ফিচার, লাইফস্টাইল
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তবে কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্ট্রোক মূলত মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ঘটে। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্ট্রোক প্রতিরোধে ৭টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো। ১. ধূমপান ছেড়ে দিন ধূমপান স্ট্রোকের অন্যতম বড় ঝুঁকি। ধূমপান রক্তনালির ভেতরের অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তকে ঘন করে তোলে। ফলে সহজেই রক্ত জমাট বাঁধে এবং তা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে। ২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন উচ্চ রক্তচাপ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা স্ট্রোকের প্রধান কারণ। নিয়মিত রক্...
জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে অধ্যাপক মাহফুজুর

জামায়াতের ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে অধ্যাপক মাহফুজুর

ইসলাম, খুলনা, জামায়াতে ইসলামি, ফিচার, বাংলাদেশ, রাজনীতি
দেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে এম এন আলী শিপলু, খুলনা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান  বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক নিপুণ পরিকল্পনার নাম। যারা জামায়াত করেন তাদের জ্ঞানার্জনের প্রধান উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআনুল কারিম। তাই কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করার জন্য জামায়াত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত জামায়াতে ইসলামী সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য এক মহতী মিশন নিয়ে দীর্ঘ পরিসরে ময়দানে সক্রিয় রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুসরণ করে জাতিকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসন ও বৈষম্যহীন জনকল্যাণমুখী নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। মূলত আমরা রাষ্ট্রের সর্বস্...
হাঁটায় কোন পদ্ধতি বেছে নিবেন, সারা দিনে ১০ হাজার কদম হাটা নাকি জাপানি পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ মিনিট?

হাঁটায় কোন পদ্ধতি বেছে নিবেন, সারা দিনে ১০ হাজার কদম হাটা নাকি জাপানি পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ মিনিট?

ফিচার, লাইফস্টাইল
সুস্থ থাকার জন্য হাঁটাহাঁটি করার চেয়ে সহজ আর কোনো ব্যায়াম নেই। তবে এই হাঁটার পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে নানা মত। সারা দিনে ১০ হাজার কদম হাঁটার মাধ্যমে স্বাস্থ্য রক্ষা করা একদিকে বেশ জনপ্রিয়, অন্যদিকে জাপানি পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ মিনিটের "ইন্টারভাল ওয়াকিং ট্রেনিং"–ও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। কিন্তু এই দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? ১০ হাজার কদম হাঁটালে কী হবে? প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটার অর্থ হলো, আপনার শরীর নিয়মিতভাবে সক্রিয় থাকছে। যতবার আপনি পা ফেলবেন, ততবারই ক্যালরি খরচ হবে। এর পরিমাণ নির্ভর করে আপনার ওজন এবং হাঁটার গতির ওপর। দ্রুত হাঁটলে ক্যালরি খরচ হবে বেশি। এমনকি হালকা গতিতেও ১০ হাজার কদম হাঁটা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সাড়ে সাত হাজার কদম হাঁটলেই হৃদরোগ ও দীর্ঘমেয়াদি অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে যায়। সারা দিনে ১০ হাজার কদম হাঁটার আরেকটি বড় সুবিধা হলো, এট...
বাকৃবির গবেষণায় বস্তিতে মানুষ ও প্রাণীর দেহে অন্ত্রপরজীবী সংক্রমণের প্রমাণ

বাকৃবির গবেষণায় বস্তিতে মানুষ ও প্রাণীর দেহে অন্ত্রপরজীবী সংক্রমণের প্রমাণ

বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ, স্বাস্থ্য
মো. আশিকুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের একদল গবেষক প্রাণী ও মানুষের ক্ষতিকর কয়েকটি অন্ত্রপরজীবী জীবাণুর সংক্রমণের প্রমাণ পেয়েছেন। এ গবেষণায় উঠে এসেছে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গবেষণা দলটি। বাকৃবির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে গবেষকদলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বেনী আমীন ও স্নাতক শিক্ষার্থী মো. আশিকুজ্জামান। গবেষণাটির পদ্ধতি সম্পর্কে বাকৃবির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বেনী আমীন বলেন, গবেষণাটি ময়মনসিংহ শহরের রেলওয়ে কলোনি সংলগ্ন একটি ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি এলাকায় পরিচালিত হয়। সেখানকার হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, কবুতরসহ শিশু ও বয়স্কদের মল, পানির নমুনা এবং মাটি ১০২টি নমুনা সংগ্রহ ...
বালিহাটি জমিদার বাড়িতে জবি আইটি সোসাইটির  একদিন 

বালিহাটি জমিদার বাড়িতে জবি আইটি সোসাইটির  একদিন 

ঢাকা, বাংলাদেশ, লাইফস্টাইল, সংবাদ
‎রাকিবুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি : ‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটির (JnUITS) সদস্যরা সম্প্রতি মানিকগঞ্জের সাতুরিয়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক বালিহাটি জমিদার বাড়িতে একটি শিক্ষা ভ্রমণ ও পিকনিকের আয়োজন করেছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতির মাঝে আনন্দময় সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। ‎বালিহাটি জমিদার বাড়ি ১৯শ শতাব্দীতে নির্মিত একটি স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন, যা বালিহাটি জমিদারদের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী। এই জমিদার বাড়ির সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সংযোগ রয়েছে। ১৮৮৪ সালে বালিহাটির জমিদার কিশোরী লাল রায় চৌধুরী জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। এই ঐতিহাসিক সংযোগের কারণে বালিহাটি জমিদার বাড়ি শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ...
হাঁটুর উপর কাপড় উঠলে ওযু নষ্ট হয় কি?

হাঁটুর উপর কাপড় উঠলে ওযু নষ্ট হয় কি?

ইসলাম, ফিচার
উত্তরঃ আমাদের সমাজের অনেকের ধারণা যে হাটুর উপর কাপড় উঠলে বা ফরজ তরক তথা সতর প্রকাশিত হলে অজু ভঙ্গ হয়ে যায়। এরূপ ধারণা কি সঠিক? বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারগণ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, সতর প্রকাশিত হওয়া বা না হওয়ার সাথে অজুর কোন সম্পর্ক নেই সতর প্রকাশ করলে বা কাউকে ইচ্ছাকৃত দেখালে এর জন্য অজু নষ্ট হবে এমনটিও নয়। আরো একটু চিন্তা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয় তা হলো অজু ভঙ্গের যতগুলো কারণ আমরা হাদিস বা ফিকহের গ্রন্থসমূহে  দেখতে পাই সেখানে ‘সতর খুললে অজু নষ্ট হবে’ বিষয়টি নেই।...