
জাবেদ হোসেন ভুইয়া, নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার আশা শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় নাসিরনগর উপজেলার আশা চৈয়ারকুড়ি শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চৈয়ারকুড়ি ব্রাঞ্চের উদ্যোগে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির অভিভাবকদের নিয়ে জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আওলাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশার নাসিরনগর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আশা হবিগঞ্জ ডিভিশনের শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল খান, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া,আশা চৈয়ারকুড়ি ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মো: মোশারফ হোসেন । সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক নার্গিস আক্তার, হেলাল উদ্দিন, শিক্ষা সুপারভাইজার রিমন দাস প্রমূখ। এসময় আশা ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা,স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,অভিভাবক,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও আশার এডুকেশন অফিসার জানান,২০১১ সাল থেকেই আশা শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে অধ্যায়নরত নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে দেশব্যাপী কাজ করে আসছে। বর্তমানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাক-প্রাথমিক পরিচর্যার মাধ্যমে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রস্তুত,বিদ্যালয়ের পাঠদান আয়ত্বে সহায়তা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া রোধে ১৫ হাজার ৭‘শ ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যা শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নতি করা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যায়নরত নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-বধ্যবিত্ত শ্রেণিরশিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ৬৪টি জেলায় ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির পাইলটিং কর্মসূচি চালু করেছে।যার মধ্যে আশা চৈয়ারকুড়ি ব্রাঞ্চ জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির পাইলটিং কর্মসূচি চলমান আছে। এরই প্রেক্ষিতে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গুনগত মান বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। তবে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতনতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে,প্রান্তিক জনগোষ্ঠির শিক্ষার মান উন্নয়নে এই কর্মসূচী বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় আশা শিক্ষা কর্মসূচী নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। ###