Tuesday, June 3
Shadow

বাংলাদেশে ২৪তম ‘চাইনিজ ব্রিজ’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, মে ৩০: চীনা ভাষা শেখা শুধু একটি ভাষা শেখাই নয়, চীন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক যোগাযোগের যে একটি ঢেউ দেখা দিয়েছে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন মন্তব্য করেছেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ২৪তম ‘চাইনিজ ব্রিজ’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

লি শাওফেং বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আছি। এই সময়ে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেছি, অনেক শিক্ষার্থীর পরিবেশনা দেখেছি। আজদেখলাম শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষায় অসাধারণ সব বিভিন্ন পরিবেশনা। তাদের চীনা ভাষার দক্ষতায় আমি মুগ্ধ। তরুণরা চীনা ভাষা শেখার মাধ্যমে চীনকে আরও জানার দরজা খুলছে।

চলতি বছর চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গেল পাঁচ দশকে চীন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়ছে। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে।  রাজনৈতিক আস্থা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ও বাড়ছে।

এবারের প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস, আয়োজনের বাস্তবায়নে কাজ করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। সহবাস্তবায়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং শান্ত মারিয়াম-হোংহ্য কনফুসিয়াস ক্লাসরুম।

অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আবদুল হান্নান চৌধুরী, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির রেজিস্ট্রার ড.পার মোদিউর রহমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ এবং সিনহুয়া নিউজের ঢাকা ব্যুরো চিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বাংলাদেশি ও চীনা শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের বাংলাদেশি পরিচালক ড. বুলবুল সিদ্দিকি বলেন, চাইনিজ ব্রিজ প্রতিযোগিতা চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের ট্যালেন্ট প্রদর্শন করছে, যা একটি বড় সুযোগ। চীনা ও বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে এমন একটি প্রোগ্রাম করছে যা মানুষে মানুষে সম্পর্ক গভীর করতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই ধরনের প্রতিযোগিতা যত বেশি হবে আমার মনে হয় প্রান্তিক পর্যায়ে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কছড়িয়ে দিতে পারবো।

দিনের শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এই প্রতিযোগিতায় একজন শিরোপা, দুইজন রানার্স আপ ও তিনজন তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়া আরও চারজনকে এক্সিলেন্স পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ধাপের চ্যাম্পিয়ন পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ট্রফির জন্য চীনে যাবে এবং আন্তর্জাতিক চীনা ভাষা শিক্ষক বৃত্তি প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করবেন।

‘চাইনিজ ব্রিজ’ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা দক্ষতা প্রতিযোগিতা একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক চীনা ভাষা প্রতিযোগিতা। এর আয়োজন করে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীনা ও বিদেশি ভাষা বিনিময় সহযোগিতা কেন্দ্র। প্রতিযোগিতাটির দু’টি পর্বে রয়েছে—বিভিন্ন দেশে প্রাথমিক প্রতিযোগিতা এবং চীনে ফাইনাল।

২০০২ সালে এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত এটি সফলভাবে ২৩টি আসর সম্পন্ন করেছে।

এই ২৩ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় সেতুটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করেছে।

সূত্র: সিএমজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *