
রোকুনুজ্জামান গোলাম রাব্বী, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচতলায় সম্প্রতি সংঘটিত সংঘবদ্ধ হামলা ও মব সৃষ্টির ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম অস্থিরতা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সম্মানিত শিক্ষক ও একটি ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের উপর এই হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ‘ছাত্রলীগ পুনর্বাসন প্রতিরোধ’ এর নামে মব সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “৫ আগস্টের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অছাত্র ও বহিরাগতদের প্রবেশ এবং ছাত্ররাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। রাজনৈতিক সহিংসতা রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনারও সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি দাবী জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অছাত্র ও বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক সহিংসতামুক্ত, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে পরিণত করতে হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে কোনো অপশক্তিই টিকে থাকতে পারবে না, এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা গণতান্ত্রিক, সহিংসতামুক্ত, মানবিক একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো তাজাম্মুল হক বলেন, “পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দিলে আমরা সে অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।