
মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে সাধক চন্দ্র রায় হত্যা রহস্য উদঘাটনসহ জড়িত প্রতিবেশী বন্ধ মোনাদ্বীপ রায়কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে স্হানীয় থানা পুলিশ। সেই সাথে আলামতও উদ্ধার করতে পেরেছে তারা।
গ্রেপ্তার মনোদ্বীপ রায়(২০) বোচাগঞ্জের ২ নম্বর ঈশানিয়া ইউনিয়নের রনটি গ্রামের তপন কুমার রায়ের ছেলে।
জানা গেছে, একই গ্রামের প্রতিবেশী ক্ষুদ্র ঔষধ ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র রায়ে কাছে ১ হাজার টাকা লাভের বিনিময়ে এক মাসের জন্য ১০ হাজার টাকা কর্জ নিয়েছিল প্রতিবেশী বন্ধু মোনাদ্বীপ রায়। কিন্তু কর্জের গোপন বিষয়টি অভিভাবককে জানিয়ে দেওয়ার ক্ষোভে ফুসছিলো মনোদ্বীপ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ জুন রাতে সাধককে মোবাইল ফোনে স্হানীয় বেদাহার এলাকায় উৎপল রায় বুলু চেয়াম্যানের মাছ চাষের পুকুর পাড়ে ডেকে নেয় মনোদ্বীপ রায়। বাক বিতন্ডার এক পর্য্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাধক চন্দ্র রায়ের মাথার পেছন দিকে আঘাত করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে লাশ পুকুরে ফেলে আত্বগোপনে ঠাকুরগাঁও সটকে পড়ে সে। ২দিন পর বুধবার সকালে পুকুরে ভেসে উঠে তার অর্ধ গলিত লাশ। খবর পেয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিসহ লাশ উদ্ধার করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ।
বোচাগঞ্জ থানার ইনচার্জ হাসান জাহিদ সরকার জানান, ছেলে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন পিতা মনোজ চন্দ্র রায়। তদন্তে নেমে নেপথ্য কারন উদঘাটনসহ জড়িতকে চিহিতসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্হল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন। এসময় মোনদ্বীপ রায়ের দেখানো স্হান থেকে সাধক রায়ের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল এবং হত্যায় ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছেন তারা। এসময় ছেলে হত্যায় জড়িতের ফাঁসি দাবি করেন সাধক রায়ের পিতা।