
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি—তারা এই টুর্নামেন্ট থেকে কোনো লভ্যাংশ পায় না। অবশেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবি আংশিকভাবে মেনে নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সোমবার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে এই লভ্যাংশ পাওয়ার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে পূরণ করতে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত—দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের বকেয়া পরিশ্রমিক পরিশোধ।
বিসিবি জানিয়েছে, ঈদুল আজহার আগেই খেলোয়াড় ও কোচদের সব বকেয়া শোধ করতে হবে। যেসব দল ঠিকমতো পরিশোধ করবে, তারা পূর্ণ লভ্যাংশ পাবে। আর যারা বকেয়া রাখবে, তাদের লভ্যাংশ কেটে রাখা হবে—এমনকি প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বোর্ড।
সর্বশেষ বিপিএল আসরে অনেক ক্রিকেটার ও কোচ চুক্তির পুরো অর্থ পাননি। যার ফলে দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্টটির আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এবার সেই সমস্যার সমাধানেই এই উদ্যোগ।
বিসিবি আগেই জানিয়ে রেখেছে, অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে টিকিট বিক্রি ও আয়োজিত ম্যাচ থেকে অর্জিত লভ্যাংশ দেওয়া হবে। প্লে-অফে খেলা চার দল পাবে ৫৫ লাখ টাকা করে এবং গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়া তিন দল পাবে ৪৫ লাখ টাকা করে।
তবে সব কিছুই নির্ভর করছে একটি বিষয়ের ওপর—বকেয়া পরিশোধ। বোর্ডের কড়া অবস্থান স্পষ্ট: খেলোয়াড় ও কোচদের পাওনা না মেটালে কোনো টাকা মিলবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। বরং উল্টো আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে তাদের।