Saturday, April 26
Shadow

ইষ্ট লন্ডনে ‘বাংলার আড্ডা’: ঠান্ডার দেশে উষ্ণতার গল্প

ইষ্ট লন্ডনের ব্যস্ত রাস্তায় এক টুকরো বাংলাদেশ। চা, কফি, ঝালমুড়ি, পেয়াজু, আর বুটের দোকানগুলো যেন বাংলাদেশের প্রাণবন্ত গ্রামীণ পরিবেশের প্রতিচ্ছবি। ঠান্ডার এই দেশে, কর্মব্যস্ত মানুষের দিনের শেষে এক কাপ চা কিংবা গরম কফির সঙ্গে আড্ডার এই আয়োজন হয়ে উঠেছে এক অদ্ভুত মিলনমেলা।

যেখানে লন্ডনের কোলাহলময় পরিবেশে সবাই ছুটছে ব্যস্ততায়, এই চা-কফির দোকানগুলো হয়ে উঠেছে মনের শান্তি খোঁজার জায়গা। বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে পরিবারের মানুষ কিংবা কর্মজীবী সবাই এখানকার আড্ডায় নিজেদের হারিয়ে ফেলেন।

অনেকে বলছেন, এই দোকানগুলো শুধু খাবারের জন্য নয়; বরং জীবনের কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগি করার, স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার এবং নতুন সম্পর্ক তৈরির এক জায়গা। ঝালমুড়ি আর পেয়াজুর গন্ধ যেমন নস্টালজিক করে তোলে, তেমনি এই আড্ডার উষ্ণতা মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের সেই চেনা ‘মামার টংয়ের’ কথা।

এখানকার দোকানদাররাও যেন একেকজন গল্পের মানুষ। তারা শুধু খাবার পরিবেশন করেন না, বরং ক্রেতাদের হাসিমুখের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন জীবনের গল্প। লন্ডনের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে এক কাপ চা কিংবা গরম সিঙ্গারার স্বাদ যেন মানুষের মনে উষ্ণতার এক ধারা বইয়ে দেয়।

ইষ্ট লন্ডনের এই আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরার এক অসাধারণ উদাহরণ। এই চা-কফি দোকানগুলো প্রমাণ করে, আড্ডা আর উষ্ণতার জন্য বাংলাদেশের মানুষ কতটা প্রাণখোলা।

ইষ্ট লন্ডনের এই ছোট্ট বাংলাদেশ—যেখানে আড্ডার গল্পের শেষ নেই।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *