
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের সরিয়ে তা পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (২৪ মে) রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকটি শুরু হয় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে।
ড. মোশাররফ আরও বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই সরকারকে শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি—যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের বিচার চলবে। এখন যে সরকার আছে, তার যতটুকু সামর্থ্য আছে, সেই বিচার করবে। নির্বাচনের পর যে সরকার গঠন হবে, তারা বাকি বিচার করবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আগেও বলেছি—নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টাকে, বিশেষ করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে সরাতে হবে। আজকের বৈঠকে আমরা এই দাবি আবারও লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। এখন ওনারা (প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর) কী বলেন, সেটা আমরা পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানাবো। আপাতত কোনো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি না।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সংস্কার বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, এ বিষয়ে ঐকমত্য ভিত্তিক সিদ্ধান্ত দরকার। প্রধান উপদেষ্টাও এতে একমত হয়েছেন। তাই দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”
তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচার করবে, এতে কারও দ্বিমত নেই। এ ছাড়া ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব—এই সম্ভাবনাও আলোচনায় এসেছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও রাজনৈতিক নৈরাজ্য চলছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, একটি সঠিক ঘোষণা আসলেই দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে। সেই ঘোষণা হতে পারে দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ।”